ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

বিচারের অপেক্ষায় হুমায়ুন আজাদের পরিবার

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪
বিচারের অপেক্ষায় হুমায়ুন আজাদের পরিবার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: দশ বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন হুমায়ুন আজাদের পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তথ্য কেন্দ্রের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে হুমায়ুন আজাদের কন্যা মৌলি আজাদ পরিবারের সদস্যদের এ অপেক্ষার কথা জানান।



অবিলম্বে হুমায়ুন আজাদের হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে লেখক-পাঠক-প্রকাশক ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মৌলি আজাদ বলেন, আমরা ১০ বছর অপেক্ষায় আছি বাবার হত্যার বিচার হবে। সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি উচ্চ আদালত বলেছে এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটানো হবে। আমরা আদালতের উপর আস্থাশীল। নিশ্চয়ই বাবার হত্যার বিচার হবে।


মানববন্ধনে কবি মোহন রায়হান বলেন, বর্তমানে যেখানে মোদের গরব ভাস্কর্য রয়েছে সেখানে ছিল লেখক কুঞ্জ। হুমায়ুন আজাদ লেখকদের সঙ্গে আড্ডা শেষে আগামী প্রকাশনী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার সময় জঙ্গি-মৌলবাদী শক্তি তার ওপর আক্রমণ চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল হুমায়ুন আজদকে শেষ করে দেওয়া। কারণ তার ক্ষুরধার লেখনী শক্তি দিয়ে মৌলবাদীদের কোণঠাসা করে ফেলেছিল। দেশের মানুষ জেগে উঠছিল অসম্প্রদায়িক চেতনায়। দুঃখজনক বিষয় হলো, ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও সে মামলার নিষ্পত্তি আজও হয়নি। উপরন্তু এই মামলার আসামি জামিনে বাইরে ছিলেন। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত, আবার কোনো লেখকের ওপর নেমে আসবে জঙ্গিদের আক্রমণ।

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মারুফ রসূল বলেন, একজন লেখকে উপর আক্রমণ করার অর্থ হলো মুক্ত চিন্তার উপর আক্রমণ চালানো। একজন লেখকের ক্ষত-বিক্ষত মুখ দেশের ক্ষত-বিক্ষত মানচিত্রেরই প্রকাশ ঘটায়। আমরা লজ্জিত হই, এমন দিনে বাংলা একাডেমির মূলমঞ্চে হুমায়ুন আজাদ স্মরণে কোনো আলোচনা হয় না। বাংলা একাডেমি কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচি ঘোষণা করে না।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কবি আয়াত আলী পাটোয়ারী, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, পাঞ্জেরী প্রকাশনার সত্ত্বাধিকারী কামরুল হাসান সায়ান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪

** শিশুর মেধা বিকাশে যত্নবান হতে হবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।