বইমেলা থেকে: শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বইমেলা মানেই প্রাণের উৎসব।
দু’প্রাঙ্গণে কোথায় কি রয়েছে তা আগে থেকে না জানলে কিছুটা বেগ পেতে হবে। তাই আগেই জেনে নিন কোথায় কি রয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় মূল প্রকাশকদের ২৫৯টি প্রকাশনীর স্টল রয়েছে। যেখান থেকে আপনার পছন্দের বই কিনতে পারবেন। এখানে লেখকদের বিশ্রাম ও আড্ডার জন্য আছে লেখককুঞ্জ। বাংলা একাডেমির নিজস্ব ৩টি বিক্রয় কেন্দ্রও রয়েছে এই চত্ত্বরে, যেখান থেকে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ কমিশনে বই কিনতে পারবেন।
এর মধ্যে আছে বাংলা একাডেমির ২০১৫ সালে প্রকাশিত বিভিন্ন ধরনের ডিকশনারি। আরো আছে মেলার তথ্যকেন্দ্র। এখান থেকে মেলার নানা তথ্য আপনি সহজে পেতে পারেন। মেলার মাঝখানে বাঁশ দিয়ে দশনার্থীদের বসার জায়গা করা হয়েছে। আছে ১১টি প্যাভেলিয়ন। বিখ্যাত ১১টি প্রকাশনার ১১টি প্যাভিলিয়নে দাঁড়িয়ে বসে, দেখে শুনে বই কিনতে পারবেন।
ওপারে অর্থাৎ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আছে মেলার মূলমঞ্চ যেখানে প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আছে নজরুল মঞ্চের বেদিতে নতুন প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উম্মোচন মঞ্চ। বাংলা একাডেমির দু’টি বড় বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে এ পাশে।
আরো আছে ৯২টি প্রতিষ্ঠানের স্টল। যার মধ্যে আছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার স্টল। এ অংশ থেকে বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল বইমেলা সরাসরি সম্প্রচার করছে। এ ছাড়া এপারে আছে বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবন।
বর্ধমান হাউজের নিচেই আছে লেখক-সাহিত্যিক যাদুঘর, মূল ভবনের নিচে আছে বাংলা একাডেমির একটি স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র। আছে নিরাপত্তার জন্য ফায়ার বিগ্রেড ইউনিট, পুলিশ র্যাব ও আনছার ক্যাম্প। মেলার মাঝখানে রয়েছে মিডিয়া সেন্টার ও স্পন্সর টেলিটকের একটি বিক্রয় কেন্দ্র। টেলিটকের বিক্রয় কেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০ টাকায় বর্ণমালা নামের একটি প্যাকেজ বিক্রি হচ্ছে। তবে এ সিমকার্ড কেবল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫
** বাংলা একাডেমি এনেছে নতুন ৯৫ বই
** বইমেলায় ডোরেমন-পোকেমন-মিস্টার বিন নিষিদ্ধ
** বইমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়