‘নেশা লাগিল রে গল্প বইটি ভালো না লাগলে আর লিখবো না, চ্যালেঞ্জ নিন’—সোহরাওয়ার্দী উদ্যানস্থ অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রবেশমুখে পাঠকদের প্রতি—ব্যানারে লিখিত—এমনই চ্যালেঞ্জ ঝুলিয়েছেন কানাডা প্রবাসী লেখক সৈয়দ আহ্সান জালাল।
ব্যানারে দেওয়া মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে কথা হয় গ্রন্থটির প্রকাশক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে।
প্রকাশকের কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে কল দিলে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় লেখকের। জানান, তিনি বইমেলাতেই আছেন। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলানিউজের মিডিয়া সম্প্রচার স্টলে আমন্ত্রণ জানানো হয় পাঠকদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া এই লেখককে।
এমন ওপেন চ্যালেঞ্জের কারণ কী—জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাহিত্য সাধনা পাঠকদের উদ্দেশ্যেই নিবেদিত। বই পড়ে তারা যদি মনে করে আমার লেখা হয় না—তাহলে কখনওই আর লিখব না। পাঠকের ভালো না লাগলে বই লিখে যাওয়ার কোনও অর্থ হয় না।
কী ধরনের গল্প রয়েছে বইটিতে?—এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আহ্সান জালাল বলেন, আমি মনে করি গল্প বা সাহিত্যকে হতে হবে দিকনির্দেশনামূলক এবং শিক্ষণীয়। এ বইয়ে স্থান পাওয়া প্রত্যেকটি গল্পেই পাঠকদের প্রতি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা আছে বলে দাবি করেন তিনি।
বইয়ের ‘আমার বিয়ে আমি করব, যাকে খুশি তাকে করব’ গল্পটি কী নিয়ে লেখা হয়েছে, এ গল্পের দিকনির্দেশনা কী?—প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এক বড়লোকের মেয়ে কিভাবে একটি গরীব ছেলেকে বিয়ে করে নিজের ক্রীতদাস বানিয়ে রাখে—তারই ওপর ভিত্তি করেই গল্পটি লেখা হয়েছে।
গল্পের শেষে দেখা যায়, ওই গরীব ছেলেটি গোপনে তার এক কাজিনকে ভালোবাসত, আর বড় লোকের মেয়ের শৃঙ্খল ভেঙ্গে অবশেষে তাকেই সে বিয়ে করে।
সৈয়দ আহ্সান জালালের প্রিয় লেখক কারা? বললেন, প্রিয় লেখক তো আর নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে বিদ্রোহী সাহিত্যে নজরুলই বেস্ট। এছাড়াও ভক্তিমূলক লেখায় ওমর খয়াম ও নাস্তিকতাবিরোধী লেখার জন্য শেলী এবং কীটস তাঁর প্রিয়।
এ সময় সাম্প্রতিক সাহিত্য নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, এখনকার সাহিত্যে নাস্তিকতাবাদ ও নৈতিকতার শূন্যতা বিরাজ করছে। কিন্তু তিনি আশাবাদী, ধীরে ধীরে তাঁর মত আরও অনেক লেখকই আসবেন যারা এসব বিষয়ে সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সমর্থ্য হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৫