১৯৭১’র বসন্তকে লেখক, সাংবাদিক ফজলুল বারী তার দেখা শ্রেষ্ঠ বসন্ত বলেছেন। লিখেছেন নিবন্ধও।
লেখক বলেছেন, বাঙালির জীবনে সেরা বসন্ত এসেছিলো ১৯৭১ সালে। স্বাধীনতার রঙ ছিলো সবুজ জমিনে লাল বৃ্ত্ত। সেই লাল বাংলার দামাল ছেলেদের উদ্দীপ্ত করেছিলো বিজয় অর্জনে। মাত্র নয় মাসে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো বিজয়।
একাত্তরের সেই আগুন ঝড়া দিনগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ রয়েছে এই নিবন্ধে। তাতে আরও পেছনের এক বসন্তে ভাষা জন্য প্রাণ দেওয়ার কথাও রয়েছে। রয়েছে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের ইতিবৃত্ত। বিশ্বমানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো একটি জাতির কথাও রয়েছে। সে নিবন্ধে অবশ্য স্বাধীনতার পর ৪৩ বসন্ত পার করে জাতীয় জীবনে বসন্তের আর কোনও বসন্তের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়নি বলে আক্ষেপও রয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নিবন্ধটির প্রসঙ্গ এখন কেনো? কারণ জাতীয় দৈনিকটিতে প্রকাশিত ওই নিবন্ধটি নাম ভূমিকায় স্থান পেয়েছে সাংবাদিক, লেখক, অর্থ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ফজলুল বারীর বইয়ে।
এবারের বই মেলায় এসেছে ফজলুল বারীর ‘আমার দেখা শ্রেষ্ঠ বসন্ত ১৯৭১’।
বইটির নামে এর একটি রাজনৈতিক দ্যোতনা থাকলেও মূলত এটি রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ বিষয়ক ৩৩টি নিবন্ধের সমাহার। বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় এ নিবন্ধগুলো। তারই সংকলিত রূপ হয়ে এসেছে বইটি। প্রকাশ করেছে ভাষা প্রকাশ।
৩৩টি নিবন্ধের মধ্যে ডজন খানেক স্রেফ রাজনীতি বিষয়ক, ডজন খানেক নিছকই অর্থনীতি বিষয়ক। গুটি কয় নিবন্ধ রয়েছে যাতে রাজনীতির অর্থনৈতিক দিক কিংবা অর্থনীতির রাজনৈতিক দিক প্রতিফলিত। বৈশ্বিক অর্থনীতিকে জড়িয়েও বিশ্লেষণ ধর্মী নিবন্ধ যেমন রয়েছে তেমনি সামাজিক সঙ্কট নিয়েও রচনা রয়েছে ফজলুল বারীর। যা সব এখন মিলছে এক মলাটে। বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ।
১৯৭২ সালে গণকণ্ঠ দিয়ে যাত্রা শুরু সাংবাদিকতা জগতে। এরপর ইনকিলাব, মর্নিং সান, দৈনিক জনতায়, সাপ্তাহিক বিচিত্রা, ঢাকা কুরিয়ার, আনন্দপত্রসহ নানা সংবাদমাধ্যমে ছিলো তার কর্মজীবন। অর্থনীতি প্রতিদিনের অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক ফজলুল বারীর ছড়া, ছোটগল্প, কবিতা, নাটকসহ অন্যান্য লেখালেখির জগতেও বিচরণ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫