বইমেলা থেকে: তখনও ঘড়ির কাঁটা তিনটা ছোঁয়নি। দুয়ার খোলেনি অমর একুশে গ্রন্থমেলার।
দুপুর গড়াতে না গড়াতেই বইপ্রেমীরা হাজির হন অমর একুশে গ্রন্থমেলার ফটকে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলার ফটকের বাইরে পাঠক-দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি। নির্ধারিত সময়ের আগেই মেলায় ঢোকার জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) মেলার চতুর্থ দিন শুরুর ক্ষণের দৃশ্য ছিল এমনটাই। এদিকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমির গ্রন্থমেলায় নতুন বই জমা পড়েছে ৩৫টি। বেলা ৫টা পর্যন্ত লেখক-প্রকাশকদের কাছে নতুন বই নেবে বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র।
বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, দেশের চলমান সহিংস পরিস্থিতির মধ্যেও পাঠকরা মেলায় আসছেন। আশা করি প্রত্যেক দিন ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে। ক্রেতা সমাগম হলে বাড়বে বিক্রিও। বইমেলায় আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অনেকেই মেলায় ঘুরতে এসেছেন। কেউ কেউ বই কিনছেনও। বিশেষ করে বাংলা একাডেমির স্টলগুলোয় পাঠকের উপচে পড়া ভিড়।
এদিকে এখনো কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান স্টল সাজিয়ে উঠতে পারেনি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্টল বরাদ্দ পেতে ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। স্টল বরাদ্দ পেয়েও দেরি হয়েছে মেলায় জায়গা পেতে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব ড. জালাল উদ্দিন জানান, দিনে দিনে বইমেলার উন্নতি হয়েছে। পাঠক-প্রকাশক, সংবাদকর্মীদের অভিযোগগুলো দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে। বইমেলায় মানুষ স্বচ্ছন্দ্যে ঘুরে ফিরে বই কিনতে পারছেন।
এদিকে বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মূলমঞ্চে চলছে আলোচনা সভা। মেলায় আসা অনেকেই সেই আলোচনা শুনছেন। সন্ধ্যায় এখানে বসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, সুর আর বাদ্য যন্ত্রে মুখরিত থাকবে একুশের এ গ্রন্থমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫