ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

ভালোবাসার দিনে চলছে শিশু প্রহর

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
ভালোবাসার দিনে চলছে শিশু প্রহর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, সাপ্তাহিক ছুটি ও শিশু প্রহর- এ চার অনুষঙ্গ মিলিয়ে শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে অমর একুশে গ্রন্থমেলার শুরুটা অন্য রকম হবে- এমনটি ধরে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় শাহবাগ মোড় থেকে বাংলা একাডেমির দিকে যাত্রা।
 
কিন্তু মেলা প্রাঙ্গণের কাছে গিয়ে কিছুটা ধাক্কা খেলাম।

বাংলা একাডেমি চত্ত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কোনো অংশেই নেই বাড়তি আমেজ। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস! অথচ নেই প্রেমিক যুগলের বেখেয়ালি আবেগে ভাসা। তবে কি পহেলা ফাল্গুনে চুকে গেছে সব লেন-দেন?
 
মেলার ১৪তম দিনে প্রথমেই ঢুকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সকাল তখন ১১টা বেজে ১০ মিনিট। ভেতরে ঢুকেই দেখি, বেশিরভাগ স্টল বন্ধ। কোনো কোনো স্টলের ঝাঁপ ওঠাতে ব্যস্ত বিক্রয় কর্মীরা।
 
এরই মধ্যে এক জোড়া প্রেমিক যুগল মেলা প্রাঙ্গণের মাঝখানে ছোট্ট তরীর মতো দোল খাচ্ছে। তাদের দুই জোড়া চোখ বলছে, ‘এখানে মোদের মানাইছেনা রে, এখানে মোদের মানাইছে না’।
 
মেলায় আসার অনুভূতি জিজ্ঞেস করতেই প্রেমিক যুগলের যৌথ উত্তর- ঝামেলা এড়াতে সকাল সকাল মেলায় এসেছিলাম। কিন্তু লোকজন না থাকায় ভালো লাগছে না। লোক খুব বেশি হলেও জ্বালা। একেবারে ফাঁকা থাকলেও মজা লাগে না।
 
ফাঁকা মেলায় মজা না লাগার অনুভূতি শোনার পর উদ্যান থেকে বেরিয়ে একাডেমির দিকে রওনা দিতেই মুক্তধারা’র বিক্রয়কর্মী আক্তার হোসেনের সবিনয় অনুরোধ, ভাই আমাদের নিয়ে কিছু লেখেন! মেলা দুই ভাগ করে সর্বনাশ করে দিয়েছে আমাদের। বেচা-বিক্রি একেবারে নেই। মেলায় আসা বেশিরভাগ মানুষ বাংলা একাডেমি চত্ত্বর থেকেই ফিরে যান। একাডেমি চত্ত্বর ও সামনের রাস্তায় ২০১০ থেকে ২০১২ সালে যে মেলা হয়েছিলো, সেটিই ভালো ছিলো।
 
বেলা পৌনে ১২টায় মেটাল ডিটেক্টর গেট পার হয়ে বাংলা একাডেমি চত্ত্বরে ঢুকেই মন ভালো হয়ে গেলো।
 
‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে’....মিউজিকের তালে তালে নজরুল মঞ্চে নাচছে ২ বছর বয়সী কৌশিক, সাড়ে ৩ বছর বয়সী অনুরাগ, ৪ বছর বয়সী নিতু ও ৫ বছর বয়সী ফুয়াদ।
 
এইসব কচি-কাঁচার জন্যই শনিবার বেলা ১১টায় মেলার দরজা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেলা ২টা পর্যন্ত বাবা-মায়ের সঙ্গে মেলায় এসে কৌশিক, অনুরাগ, নিতু, ফুয়াদরা পছন্দের বই দেখতে ও কিনতে পারবে। ঘুরে বেড়াতে পারবে ইচ্ছামতো।
 
চাইলে সিসিমপুরের হালুম ও ইকড়ির সঙ্গে নাচতে পারবে নজরুল মঞ্চে। আর মেলার মূল মঞ্চে রয়েছে শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলা একাডেমি আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা।
 
এ ছাড়া মেলার ১৪তম দিন শনিবার বিকেল ৪টা থেকে মূল মঞ্চে শুরু হবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রয়াত দার্শনিক প্রখ্যাত রাষ্ট্রচিন্তক অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিমের ওপর আলোচনা দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রায়হান রাইন। আলোচনায় অংশ নেবেন শহিদুল ইসলাম ও জিয়া রহমান। সভাপতিত্ব করবেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।