গ্রন্থমেলা থেকে: প্রতি বছরের মতো এবারও মেলায় পাঠক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন ধরনের অভিধান। একাডেমি চত্বরে তিনটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে একাডেমির।
চারটি বিক্রয় কেন্দ্রেই দেখা যায়, অভিধানই বেশি কিনছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শিশু কর্নারে একাডেমি প্রকাশিত শিশুদের বইয়ের আড়ং। সেখানেও বিক্রি হচ্ছে শিশু কিশোরদের উপযোগী অভিধান। এসব অভিধানের মূল্য ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। বইমেলা উপলক্ষে শতকরা ৩০ শতাংশ কমিশনে অভিধানগুলো বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা একাডেমি বিক্রয় ও বিপণন সূত্রে জানা যায়, মেলার ১৫তম দিন পর্যন্ত বাংলা একাডেমির বই বিক্রি হয়েছে ৬০ লাখ টাকারও বেশি। এর মধ্যে ষাট ভাগের বেশি টাকা এসেছে অভিধান বিক্রি থেকে। এসব অভিধানের মধ্যে ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, বাংলা টু ইংলিশ ও ছোটদের অভিধান বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। তবে একাডেমি থেকে প্রকাশিত প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা ভাষার অভিধান, ছোটদের অভিধান, বাংলা বানান অভিধান, আঞ্চলিক ভাষার অভিধান, বাংলা উচ্চারণ অভিধান, বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান, সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান, সহজ বাংলা অভিধানেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
তবে মেলায় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত অভিধানের পাশাপাশি অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত কিছু অভিধানও পাওয়া যাচ্ছে। যার মধ্যে ঐতিহ্য প্রকাশনীতে খন্দকার মাহমুদুল হাসানের ‘ঢাকা অভিধান’, আবদুল মান্নান স্বপনের ‘গালি অভিধান’, অবসর প্রকাশনা সংস্থায় পূরবী বসুর ‘সম্প্রীতির জন্যে শব্দাবলি’, ড. প্রদীপ রায় ও মালবিকা বিশ্বাসের ‘পরিভাষা অভিধান’, দিব্যতে ড. মিয়া মোহাম্মদ আদেলের ‘ভাষা কোষ’, শানজিদ অর্ণবের ‘ধর্ম কোষ’, শেখ সাদীর ‘উদ্ভিদ কোষ’, খন্দকার মাহমুদুল হাসানের ‘প্রথম বাংলাদেশ কোষ’, কবির মোহাম্মদ আশরাফ আলমের ‘লোকপ্রশাসন কোষ’, আহমদ পাবলিশিংয়ের ড. হায়াত্ মামুদ ও মুস্তাফা পান্নার ‘কিশোর বাংলা অভিধান’ উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫