বইমেলা থেকে: মেলার দু’প্রান্তে কয়েক চক্কর দিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় ফের যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকছি দূর থেকেই কানে ভেসে এলো, ‘ও নানা, যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলানো আর চলবে না, ও...নানা পরিবেশ দূষণ করা তো চলবে না, নানা হে...’
নানা-নাতির কণ্ঠে বৃহত্তর রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই ঐতিহ্যবাহী গম্ভিরা গান শুনতে মেলা গেটের সামনে বড়-সড় একটা ভিড় জমে গেছে। মিডিয়াকর্মী. বিশেষ করে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরাও গুরুত্বের সঙ্গে কাভার করছেন গম্ভিরা গানের নানা-নাতি এ পালা।
এমনিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরের পরিবেশ সবসময় নোংরা থাকে। ঢাবি সংলগ্ন ঐতিহাসিক এ উদ্যানটিতে সারাদিন ভিড় জমে থাকে। ফলে পরিত্যক্ত খাবারের প্যাকেট, ভবঘুরে ও ছিন্নমূল মানুষের ব্যবহার্য জিনিসপত্র, পানির বোতল প্রভৃতি জমে থাকে সবসময়।
এর সঙ্গে বইমেলায় আসা পাঠক ও দশর্নাথীদের ফেলে যাওয়া বর্জ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাকাল অবস্থা। সে দিক বিবেচনায় রেখে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কিপক্লিন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গম্ভিরা গানের দলকে মেলায় নিয়ে এসেছে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে কিপক্লিন নামের এনজিওটি। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অনেক দেন-দরবারের পর বাংলা একাডেমির কাছ থেকে আজ এখানে অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করবো। কিন্তু অনুমোদন মিলছে ৪টা থেকে ৫টা- এই ১ ঘণ্টার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬,২০১৫