ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

‘ব্লগারদের অধিকার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
‘ব্লগারদের অধিকার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

ঢাকা: দেশব্যাপী সকল ব্লগারের অধিকার, মতপ্রকাশ ও মুক্ত চর্চার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত বই ‘ব্লগারদের অধিকার’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।

রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাকস্বাধীনতা’ বিষয়ক মানবাধিকার সংগঠন ‘আর্টিকেল-১৯, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া’র উদ্যোগে বইটির প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

এ সময় ‘স্পন্দমান ও শঙ্কামুক্ত অনলাইন ক্ষেত্র চাই’ বিষয়ে দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আর্টিকেল-১৯’র পরিচালক তাহমিনা রহমান বলেন, বাংলাদেশের ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে এই প্রথম কাজ করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল-১৯, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন আর্টিকেল-১৯ ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং মুক্তমনা গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার নিয়ে নানামুখি কার্যক্রম শুরু করেছে।

তিনি বলেন, এর ধারাবাহিকতায় টি-সার্কেল ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের অংশগ্রহণে আজকের (রোববার) এই কর্মশালা হলো। ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ, নিরপত্তা, তাদের মেধাস্বত্ব নিয়ে সংগঠনটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চা চক্রের আয়োজন করে। সেখানে অংশগ্রহণকারী ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের আলোচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মতামত উঠে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠানে নিঃশঙ্ক নামক অনলাইন টুল উদ্বোধন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ব্লগাররা তাদের অধিকার লঙ্ঘন হলে তা লিপিবদ্ধ করবেন; যা পরবর্তীতে রেকর্ড হিসেবে থেকে যাবে।

আর্টিকেল-১৯ কর্তৃক বাংলায় ‘ব্লগারদের অধিকার’ শীর্ষক বইটির প্রকাশনার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সম্প্রচার আইন বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপাসন ড. গোলাম রহমান।

এ সময় তিনি বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন সোর্স তৈরি হয়েছে। সংবাদ এখন শুধু আর পত্র-পত্রিকা বা টেলিভিশন ও রেডিওর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গণমাধ্যম এখন একটি বড় বিষয়। ব্লগারস, অনলাইন অ্যাক্টিভিজম এখন একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জাকির খান, ব্যারিস্টার তারিকুল কবির তানজির, অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার ক্যামেলিয়া কামাল, সাদরিল শাহজাহান, আরিফ নুর, মির্জা মোহম্মাদ ইলিয়াস ওরফে ছোট মির্জা।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মণ দত্ত পান্ট, মিডিয়া যোগাযোগ সমন্বয়কারী, ইউনেসকো-নেপাল, ব্যারিস্টার জ্যোতিময় বড়ুয়া, ড. শহীদুল আলম, নির্বাহী পরিচালক, দৃক, মিডিয়াকর্মী নিশাত জাহান রানা, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কমনওয়েলথ’র প্রতিনিধিবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।