ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

দুয়ার খুললো বইমেলার

আদিত্য আরাফাত ও সাজেদা সুইটি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৬
দুয়ার খুললো বইমেলার ছবি: দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: দুয়ার খুলেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার। কয়েক দশক ধরেই ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন এভাবেই একমাসের জন্য বইমেলার দ্বার উন্মুক্ত হয় সর্বসাধারণের জন্য।

মিলনমেলায় পরিণত হয় এ উৎসব।

সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬ উদ্বোধনের পর মেলা পরিদর্শন করেন। এরপর সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় বইমেলার দুয়ার।

এবার অনেক বড় পরিসরেই শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বেড়েছে বইমেলার পরিধি। বাংলা একাডেমির উল্টো দিকের উদ্যানের সীমানা প্রাচীরের একটি অংশ ভেঙে তৈরি করা হয়েছে ৪৮ ফুটের অতিরিক্ত নতুন প্রবেশ পথ, যার সঙ্গে বাংলা একাডেমি অংশের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। মেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যেনো জটলা তৈরি না হয়, তাই নতুন এ গেটটি তৈরি করা হয়েছে।

শীতের বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতেই বইপ্রেমীদের আগমনে সরব হয়ে উঠেছে গ্রন্থমেলা। প্রাণ ও মননের মেলার সঙ্গে আত্মসংযোগ ঘটিয়েছেন গ্রন্থানুরাগীরা। নতুন বইয়ের সন্ধানে ঘুরছেন স্টলে স্টলে। খুঁজেছেন পছন্দের লেখকের গল্প, কবিতা কিংবা উপন্যাস। কোনো পাঠক আবার গবেষণাধর্মী কিংবা প্রবন্ধের বই তালাশ করেছেন। এদের মধ্যে কেউ বা বই কিনেছেন। আবার অনেকেই শুধু নতুন বইয়ের খোঁজ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মাসব্যাপী চলমান বইয়ের মেলায় সুবিধামতো সময়ে যে কোনো দিন এসে কিনে নেবেন নিজের আগ্রহের বইটি।

মেলার প্রথম দিনেই গ্রন্থানুরাগীর ব্যাপক সমাগম না হলেও চোখে পড়ার মতো পাঠকের দেখা ঠিকই মিলেছে। মেলার দুই ভেন্যু বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মনের আনন্দে ঘুরছেন এসব পাঠক। তাই বলা যায়, লেখক-প্রকাশক ও আয়োজক সবার মানসিক সংযোগ ঘটিয়ে যাত্রা শুরু করলো মাসব্যাপী একুশের বইমেলা।

দুপুর ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বসে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী এর উদ্ধোধন করেন।

সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ ও অমর একুশের ঐতিহাসিক সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পালন করা হয় একমিনিটের নীরবতা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি সচিব আকতারি মমতাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ কবি ও জীবনানন্দ অনুবাদক জো উইন্টার, চেক প্রজাতন্ত্রের লেখক-গবেষক রিবেক মার্টিন, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সমিতির (আইপিএ)-এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রিচার্ড ডেনিস পল শার্কিন এবং জোসেফ ফেলিক্স বুরঘিনো প্রমুখ।

ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৬
এডিএ/এসকেএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।