ওমর, শুভ, আলমগীর ও জয়। অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে ঘিরে আয়ের পথ বের করেছে এই চার বন্ধু।
তাদের হাতে বানানো ঠেলাগাড়িতে করে স্টলে বই পৌঁছে দিচ্ছে এসব দুরন্ত শিশু। দূরত্ব বুঝে ১০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে তারা।
কোলাহলময় মেলায় একটু নির্জন জায়গা পেলেই প্রিয় বইটি নিয়ে বসে দেখছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।
দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একটু ফুরসত পেলেই মেলার স্টলে পছন্দের বইটি খোঁজে ফিরছেন নারী পুলিশ সদস্যরাও।
বড়দের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ শিশুটি বলছে-‘আম্মু, আমি এই বইটাই কিনবো। মেলায় গেলে খুদে পাঠকদের এমন মিষ্টি কথার বায়না সবারই কানে আসবে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের কিছু পরই চোখে পড়বে জাগৃতি প্রকাশনীর স্টল; যেখানে না থেকেও শোকের আবহে আছেন নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন।
মেলার তৃতীয়দিন জাগৃতির স্টলের সামনে কথা বলেন ছেলে হারা বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
ভালোবাসা যেখানে শুধু বইয়ের সঙ্গে...
ভালোবাসার খোঁজও বইকে নিয়ে...
আবৃত্তি শুনেও প্রাণের মেলায় বিমোহিত হচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।
লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের নিরাপত্তায় এবার মেলায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমএ/