ঢাকা: বাবা-মায়ের তর্জনী দখলে নিয়ে কচি কচি পা গুলো হাঁটবে এক স্টল থেকে অন্য স্টল। নতুন বইয়ের বায়না ধরবে, দেখবে এবং কিনবে শিশুরা।
শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) মেলার পঞ্চম দিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ঝাঁপি খুলছে বেলা ১১টায়। মেলার প্রথম প্রহরটাই থাকছে শিশুদের। শিশুরা যাতে তাদের অভিভাবকসহ স্বাচ্ছন্দ্যে বই কিনতে পারে সেই জন্য শিশু প্রহর ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি।
এদিকে বিগত বছরগুলোতে শিশুকর্ণার ছিল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে। এবার শিশুকর্ণার মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। শিশুকিশোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহ যেন বইমেলায় ক্রয়-বিক্রয়ের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে সে জন্যই এই ব্যবস্থা।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ছোটদের জন্য দু’দিন শিশপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার (৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর ঘোষণা করেছে মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিশুপ্রহরে শিশুরা যাতে মেলা প্রাঙ্গণে পরিবারের সদস্যের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে ও তাদের পছন্দের বই খুঁজে নিতে পারে সে জন্য শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবারই মেলাকে কেন্দ্র করে আমরা শিশুদের জন্য আলাদা করে প্রহর ঘোষণা করে থাকি। এবারও সেভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যোগ করেন তিনি।
মেলায় আরো শিশুপ্রহর বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ানো হতে পারে। তবে এখন আমরা ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি শিশুপ্রহর ঘোষণা করেছি।
বাংলা একাডেমি থেকে জানা যায়, শিশুপ্রহর ঘোষণার পাশাপাশি মেলার পুরো সময়ে শিশুদের আনন্দ দেয়ার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে খেলাধুলা, এক মঞ্চে তাদের বিভিন্ন পরিবেশনা এবং শিশু সাহিত্যিকদের সঙ্গে আড্ডার ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও শিশুপ্রহরের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শিশুকিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করবেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬
এডিএ/আরএইচএস