বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে: কেউ আঁকলো মনের মতো গ্রাম-প্রকৃতি, কেউ বা শহীদ মিনার। আবার কারও কারও আঁকায় ফুটে উঠলো বাংলা একাডেমির বর্ধমান ভবন।
শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলার পঞ্চমদিন। সকালে শিশুপ্রহর (বেলা ১১ থেকে ১টা)। তার ঠিক আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে তিন বিভাগে (ক, খ এবং গ) অংশ নেয় প্রায় হাজারখানেক শিশু-কিশোর। ঠিক বইমেলা উপলক্ষে না হলেও মেলা প্রাঙ্গণে হওয়ায় এ রং ছড়িয়ে পড়ছে মেলায়।
সবার হাতে রং পেন্সিল। বড় বড় আর্ট কাগজে তারা ফুটিয়ে তুলেছে মনের ভাব। কারও মুখে তুলির আঁচড় তো কারও জামা ভরেছে রঙে। মনের আনন্দে এঁকেছে সবাই।
এই যেমন মিথিলা। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। মায়ের হাত ধরে সেই খিলগাঁও থেকে চলে আসে ছবি আঁকতে। তার মা রুমা বেগম বাংলানিউজকে জানান, মেয়ের শখ ছবি আঁকা। বাংলা একাডেমির মতো একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরেছে সে, এতে আমরা বেশ খুশি।
দুই ভাই-বোন ইসলামুল হক ও সাদিয়া নুসরাত। ছবিতে আকছিল পাশাপাশি বসে। আঁকতে আকতে তারা বাংলানিউজকে বলে, খুব ভালো লাগছে। অনেক মানুষ অংশ নিয়েছে, প্রথমে ভয় ভয় লাগলেও এখন মজাই পাচ্ছি।
মায়ের ভাষায় কথা বলতে, মায়ের ভাষায় মনের ভাবপ্রকাশ করতে রক্ত দিয়েছেন সালাম-রফিক-বরকতরা, জীবন দিয়ে হয়েছেন শহীদ। তাদের সেই আত্মত্যাগ কখনোই ভোলার নয়। '৫২'র ভাষা আন্দোলন ও ভাষার ইতিহাস নতুন প্রজন্মের শিশুদের কাছে পরিচিত করতে বাংলা একাডেমি প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করলো চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এই আয়োজন শিশুদের একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে এবং প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করবে বলে মত দেন বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক জি এম মিজানুর রহমান।
অভিভাবকারও বলছেন, বাংলা ভাষার প্রতি, ঐহিত্যের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান বাড়াতে এ ধরনের আয়োজন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
আইএ
** বাংলা একাডেমিতে চলছে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
** বাংলা একাডেমির শিশু প্রতিযোগিতার ফরম বিতরণ শেষ বুধবার