ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

একুয়া রেজিয়ার কোনো কোনো গল্প ফেলে আসা সময়ের দীর্ঘশ্বাসের

বইমেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৬
একুয়া রেজিয়ার কোনো কোনো গল্প ফেলে আসা সময়ের দীর্ঘশ্বাসের

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে একুয়া রেজিয়ার নতুন দুইটি বই। অন্যপ্রকাশ থেকে উপন্যাস ‘মনোসরণি’ এবং অনিন্দ্য থেকে গল্পের বই ‘কাকতাড়ুয়ার আকাশ’।

বই দুটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন যথাক্রমে নির্ঝর নৈঃশব্দ্য ও কারু তিতাস।

এর আগে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিনটি—‘নগরের বিস্মৃত আঁধারে’, ‘কিছু বিষাদ হোক পাখি’, এবং ‘এই শহরে মেঘেরা একা’। সবগুলো বই প্রকাশিত হয়েছে অন্যপ্রকাশ থেকে।

নতুন প্রকাশিত উপন্যাসটি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে একুয়া রেজিয়া বলেন, কোনো গল্প থাকে ফেলে আসা সময়ের র্দীঘশ্বাসের। কোনো গল্প থাকে দু’জনের, অযুত নিযুত দূরত্বের। কিছু গল্প থাকে ছেঁড়া ছেঁড়া আনমনা স্বপ্নে বোনা। যেখানে কখনো জমে মোহাবিষ্ট শিশিরকণা, আর কখনো ভিড় করে আসে নরম কোমল সন্ধ্যা। মনের অতলে থেকে থেকে ডুবুরী হয়ে ভেসে আসে পুরানো স্মৃতি, ভীষণ পরিচিত কোনো মুখের। যাকে কেউ মুছে ফেলেছিল এমনই এক সন্ধ্যাবেলায়। যেখানে নীড় বাঁধে না শব্দ, ফিরে আসে না স্বপ্ন। কিন্তু বেলাশেষে বিশাল এক বেগুনী আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ খুঁজে পায় জীবনের নতুন অর্থ,  কেউবা এই ছোট্ট সময়ের ছোট্ট জীবনে খুঁজে ফিরে এক পশলা বৃষ্টি... নিতান্ত ব্যক্তিগত আপন এক অন্যরকম বৃষ্টি... ব্যক্তিগত বৃষ্টির গল্পবর্ণনা করা হয়েছে এই উপন্যাসে।

গল্পের বই কাকতাড়ুয়ার আকাশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষ সামগ্রিকতায় বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকায়, জড়িয়ে রাখায়। সময়ের সাথে বাজি রেখে মানুষ তাই বেঁচে থাকে আশায়, ভাবনায়। কিন্তু নিরন্তর সেই ছুটে বেড়ানোর শেষ কোথায়? কোনো রাস্তার মোড়ে এসে কি কখনো তারও দম আটকে আসে। নিস্তব্ধ কোনো রাত্রে বারান্দায় নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকা কেউ ফুঁপিয়ে কেদে ওঠে তো। কিন্তু কেউ যখন আবার আনমনা সেই সময়েই স্বপ্ন বোনে, অজানা ভবিষ্যতের?

মানুষের নিজস্ব একাকী সেই সময়ের অনুভূতিগুলোই লিখেছি দ্বিতীয় এই গল্প সংকলনে। শহরের বুনো ব্যস্ততার নিরেট বাস্তবতায় যে গল্প শুধুই বন্ধুত্বের, জীবনের, হতাশার কিংবা জ্যোৎস্নার। আমাদের আটপৌরে সম্পর্কই যেন নতুন কোনো মায়ার জাল বুনে চলে এই গল্পগুলোর মাঝ দিয়ে। যেখানে বহু যত্নে আগলে রাখা ভালোবাসাটুকু এক ভোরবেলা খুব অচেনা হয়ে ওঠে। যেখানে আবেগের অন্ধকার রূপ সৃষ্টি করে শূন্যতা কিংবা তীব্রতার। ফিরে দেখা সময়ের মাঝ দিয়ে যেখানে কখনো চেনা সম্পর্ক হয়ে ওঠে অচেনা, আর অচেনা বহু শতাব্দী দূরের কেউ ছুঁয়ে দিয়ে যায় মনোগ্রাফঃ চেনা সুরেই...

বইয়ের গল্পগুলোর নাম জানতে চাইলে একুয়া রিজিয়া জানান, বইয়ে মোট ১৪টি গল্প রয়েছে। গল্পগুলোর নাম—কাকতাড়ুয়ার আকাশ, অসিতবরণ কৃষ্ণচূড়া, পিগম্যালিয়ন এফেক্ট, বসন্ত, ভালোবাসা মেঘেদের ডানায়, স্বপ্নকান্না, অনিকেত প্রতীক্ষা, আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি, বৃষ্টিতে ডুবে যাই, হাবিবি, রোদ পড়ে না, গল্পহীন, নিরন্তর নৈঃশব্দে, মেঘ জমে আছে মন কোণে এবং মুক্তি।

গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নে মনোসরণি এবং অনিন্দ্য প্রকাশের ২৯৩-২৯৬ নাম্বার স্টলে কাকতাড়ুয়ার আকাশ পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অনলাইন বুকশপ রকমারি.কম থেকে অর্ডার দিয়েও বইদুটি সংগ্রহ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৬
টিকে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।