অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি সংগ্রহে গ্রন্থমেলায় রীতিমতো ভিড় জমেছে মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি)। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে বইটি কিনছেন মেলায় আগতরা।
এদিন মেলার ঝাঁপি খোলার পর থেকেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে যুবলীগের প্রকাশনা ‘যুবজাগরণে’ ভিড় জমতে থাকে। প্রতিদিনই এমন ভিড় নজর এড়ায় না। মেলার দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে অসমাপ্ত আত্মজীবনী সংগ্রহে মানুষের জমায়েত ততই বাড়ছে।
এছাড়া আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটিও বিক্রি হচ্ছে বেশ। এটির মূল্যও তারা ছাড় দিয়ে সরবরাহ করছে ১০০ টাকায়।
স্টলটিতে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেলো। এদিন যুবজাগরণ স্টলে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ফারহানা, তানজিনা, সানমুন এবং লিজা।
ফারহানা বাংলানিউজকে বলেন, লাইন ধরে মানুষ বইটি কিনছেন। এতো বেশি চাহিদা রয়েছে বইটির যে আমরা সামলাতে পারছি না। নিয়ে আসছি, আর ফুরিয়ে যাচ্ছে। মূলত ভর্তুকি দিয়ে ১০০ টাকায় বইটি দিতে পারায় সব শ্রেণীর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
বাংলা একাডেমিতে ৭৬-৭৭ নম্বর স্টল যুবজাগরণের। স্টলের বাইরে দাঁড়িয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় যুবলীগের উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মানুষ জানতে চায়। এখানে কোনো দলের বিষয় নয়। সব ধরনের-পদের মানুষের আগ্রহ জাতির জনককে ঘিরে। তাই তার বইটি অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমরাও কম দামে দিচ্ছি কারণ সবার হাতেই যেন বইটি পৌঁছাতে পারে। মেলা ছাড়াও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কার্যালয়ে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
তার সঙ্গে যখন কথা হয় সে সময়ই সালাম, কবির, রিয়াজ, আসাদ, মোমিন, ইউসূফ, নাসির, জোবায়ের, ওসমান, প্রশান্ত, সুব্রতদের লাইন অসমাপ্ত আত্মজীবনী সংগ্রহের জন্য।
মেলা চলাকালীন সময় সন্ধ্যায় এসে বইটি পাননি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাপ্পা দেব। বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাকে জানালো, এতো বিক্রি হয়েছে যে কুলানো যাচ্ছে না। আগামীকাল বা আরেক দিন এসে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
আইএ/এএ