বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শিবলী মোকতাদিরের চতুর্থ কবিতার বই ‘ব্যবহারিক বিস্ময়’। তবে প্রবন্ধ ও মুক্তগদ্যের আরও দুটিসহ তার প্রকাশিত মোট বইয়ের সংখ্যা ছয়।
বইটি সম্পর্কে জানতে চাইলে শিবলী মোকতাদির বলেন, খুব বেশি দিন না। বলতে গেলে বছরখানেক আগে ঝুম এক বৃষ্টির রাতে হঠাৎ করেই তিন লাইন করে গোটা পাঁচেক কবিতা লেখার পর মনে হলো, আরে! বেশ মজার ব্যাপার তো। প্রত্যেকের মধ্যে অদ্ভুত এক বিস্ময় লুকিয়ে আছে। আই মিন- তিন লাইনের আজব এক তরিকা।
তিনি বলেন, যা পাঠান্তে একপ্রকার বিস্ময়বোধ জেগে উঠবে, আমার-আপনার সর্বোপরি সব পাঠকের মনে। আর এরই টানে, গভীর এক দমকা হাওয়ায়, পুরো বর্ষাজুড়ে লিখে ফেলেছিলাম প্রায় ৩শ’টি বিস্ময়। যা আমার এ কাব্যগ্রন্থের নামকরণেও যথেষ্ট সাহায্য করেছে। নামই দিয়েছি ‘ব্যবহারিক বিস্ময়’। এ-গ্রন্থে স্থান পাওয়া ১০০টি বিস্ময়, আমার বিশ্বাস একশ’ রকম আনন্দ এনে দেবে পাঠকের মনে।
আগের বইগুলো থেকে এ বইয়ের পার্থক্য কী? বললেন, আগের কাব্যগ্রন্থগুলো যে যার মতো ছিলো। আমি চেষ্টা করেছি, আমার মতো অচিন আর আলোচ্য ভাষায়, অদেখা রূপের মায়ায় তাদের আলাদা আলাদা করে বন্দি করতে। কাজেই নতুন একটা ফর্ম নিয়ে, এ-গ্রন্থে যা হাজির হবে- নিশ্চিত তা পূর্ব-প্রকাশিত, পঠিত কবিতা থেকে আলাদা তো বটেই। তার চাল-চরিত্রে। গঠন আর ঘটনাতে। সে টাটকা, নতুন।
৪৮ পৃষ্ঠার ব্যবহারিক বিস্ময়-এর বিনিময় মূল্য ১০০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন বিধান সাহা।
বছরের অন্য কোনো সময়ে না করে বইমেলার সময়েই কেন বই প্রকাশ করলেন? জানতে চাইলে শিবলী মোকতাদির বলেন, দেখুন বই নিয়ে, তার প্রকাশ নিয়ে বিবিধ বচন আছে আমার। ব্যাখ্যায় বহুমাত্রিক আলাপ জমানো যায়। তবে সে পথে না হেঁটে সংক্ষেপে, গোপনে জানাই—হজেই যদি যাব, তবে তার আগে ওমরা করে লাভটা কি ভাই?
ব্যবহারিক বিস্ময়সহ ঘরে বসে বইমেলার সকল বই পেতে ভিজিট করুন rokomari.com-এ। অথবা কল করুন 16297 নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
টিকে/এএ