ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় এসেছে লেখক ও নির্মাতা নাসিম সাহনিকের নতুন দু’টি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ভিত্তিক উপন্যাস। একটি ‘মিশন ইমোশন’ ও আরেকটি ‘ল্যাঙ্গুয়েজ হান্টার’।
মিশন ইমোশন প্রকাশ করছে অনিন্দ্য প্রকাশ (স্টল নম্বর ২৯৩-২৯৬) আর ল্যাঙ্গুয়েজ হান্টার তাম্রলিপি থেকে (স্টল নম্বর ১৩৬)। তরুণ প্রজন্মের সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে নাসিম সাহনিক তার ভিন্নধর্মী বিষয়বস্তু নিয়ে লিখে এরই মধ্যে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
মিশন ইমোশনের পটভূমি রচিত হয়েছে ঢাকায় অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমোশন সেন্টার কেন্দ্র করে এবং ল্যাঙ্গুয়েজ হান্টারের কাহিনীতে দেখা যায়, একটি এলিয়েন প্রজাতি দূর নক্ষত্রের গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে অবস্থান নিয়েছে।
নাসিম সাহনিক মূলত বিজ্ঞান ও সাহিত্যের মেলবন্ধনের সূত্রকার। বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রকৃতি, প্রাণ, মহাবিশ্ব প্রভৃতি অধ্যয়ন করে থাকেন। সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষ, জীবন, সংস্কৃতি প্রভৃতি বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। বেশকিছু পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ২৫টি একক নাটক। ‘ইয়ুথ ইন লাভ’ এবং ‘জীবনের রং’ নামে দু’টি ধারারাহিক নাটক পরিচালনা করেছেন। সম্প্রতি তিনি একটি টেলিমুভি এবং একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছেন।
নতুন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী প্রকাশ নিয়ে নাসিম সাহনিক বলেন, লেখালেখি আমার খুবই প্রিয় একটি বিষয়। সম্প্রতি আমার ছবির জন্য ছয়টি গান লিখলাম। বেশ ভালো লেগেছে গানগুলোর সংগীত আয়োজনের সময়। গান, নাটক, চলচ্চিত্র থেকে আগামী দুই সপ্তাহ বিশ্রাম নেবো। এই সময়টাতে আমার পুরো মনোযোগ থাকবে বইমেলায়।
নতুন বই প্রকাশে বেশ ভালো লাগছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লিখলে আনন্দ হয়। নিজের কাছে মনে হয় ভিন্ন এক জগতে ভিন্ন এক সময়ে যেন আমি ভ্রমণ করতে থাকি।
এর আগে, মেলায় নাসিম সাহনিকের প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলো মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারের কচ্ছপ (রাত্রি), সুন্দরবনে ত্রুটি (ছায়াবিথী), মহাকাশে মহাযান (শুভ্র), রোবোসাইকোলজিস্ট (অন্বেষা), জেনেটিক কোড (রোদেলা) প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
আইএ/এএ