বইমেলা থেকে: শিলা ও ঝড়ো বৃষ্টিতে চরম বিপর্যয়ে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। গোড়ালি সমান পানি ফায়ার সার্ভিসের পাম্প দিয়ে নিষ্কাশিত হলেও সৃষ্টি হয়েছে গর্তের।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মেলার গেট খোলা নিয়ে শঙ্কা এখনও কাটেনি। পাঠকরা এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে কীভাবে মেলা প্রাঙ্গণে পা রাখবেন, বই কিনবেন তা নিয়ে হতাশ প্রকাশকরা।
প্রকাশদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দাবি করা হয়েছে মেলার সময়কাল সাতদিন বাড়ানোর। বড় বড় তিন প্রকাশনা সংস্থা জার্নিম্যান বুকসের কর্ণধার তারিক সুজাত, অনন্যা প্রকাশনীর কর্ণধার মনিরুল হক এবং কাকলী প্রকাশনীর এ কে নাসির বাংলানিউজকে তাদের দাবির কথা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, আমরা অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোকেও জানাবো এই দাবির কথা। জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক দাবি করা হবে বাংলা একাডেমিতে।
এদিকে, বাংলা একাডেমি বলেছে মেলা সন্ধ্যায় শুরু হয়ে যাবে।
প্রকাশকরা বলেন, এই বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে দুই দফা- একটি মেলা স্থগিত করায়, অন্যটি পানি জমে থাকা ও নিষ্কাশন সমস্যা। মেলার এই শেষ সময়ে এমনিতেই বেচাবিক্রি ভালো হয়, এসময় বৃষ্টি পাঠকদের হোঁচট দিলো। আর পানি নিষ্কাশন ও ছাদের ত্রিপল ভেদ করে পানি ঢুকেছে, ভিজেছে বইপত্র। এতে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
ভেজা বইগুলো কাজে লাগবে না উল্লেখ করে তারা বলেন, অনেক প্রকাশনী সে বই অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছে। গর্ত ভরাট, ক্ষতিগ্রস্ত স্টল মেরামতে অন্তত দু’দিন সময় লেগে যাবে। এতে বিক্রির দিকে প্রকাশকরা মন দেবেন নাকি এসব দুর্যোগ মোকাবেলায়- সে জন্যই মেলার সময় বাড়ানোর দাবি করা হচ্ছে।
মেলার গেট না খুললেও শুরুর অপেক্ষায় বাইরে অপেক্ষমাণ বইপ্রেমীরা। একটু পরে হলেও মেলার গেট খুলবে বলেই আশা তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এডিএ/আইএ/এএ
** বৈরী আবহাওয়ায় বইমেলা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা