বইমেলা ঘুরে: দারুণ তিনটি শিশুতোষ গল্পে বই সাজিয়েছেন ইব্রাহিম নোমান। ‘ভূতের স্কুলে সেলফি’ শিরোনামে বইটিতে পাঠক পাবেন লেখনী অার প্রযুক্তির এক চমৎকার মিশ্রণ।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিবেশক সাকী পাবলিকেশন্সের (৪০৪ নং) স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি। যা বের করেছে কালান্তর প্রকাশনী। বইটির অলঙ্করণ ও প্রচ্ছদ করেছেন সোহেল আশরাফ।
২০০৯ সাল থেকে দৈনিক জনকণ্ঠের ‘ঝিলিমিলি’ এবং ‘প্রকৃতি ও বিজ্ঞান’ দু’টি পাতা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, মাসিক পত্রিকা ও অনলাইনে লেখালেখি অব্যাহত রেখেছেন।
বইটির গল্পে রয়েছে— জয় আর আমতো ভূত হেঁটে হেঁটে পৌঁছে গেলো ভূতের স্কুলে। দু’টো তেঁতুল গাছের মাথায় নাম লেখা ‘ভূতেশ্বরী কিন্ডারগার্টেন’।
আমতো বলল, আমার ঘাড় মটকাতে ভালো লাগে না। তাইতো স্কুল পালাই। চলো তুমি আর আমি আমাদের ভূতের স্কুলের সামনে একটা সেলফি তুলি। এমনই নান্দনিকভাবে এগিয়ে গেছে ‘ভূতের স্কুলে সেলফি’ গল্পটি।
আরেকটি গল্পে রয়েছে— রিয়ানা বলল, ‘কে? কে এমন করে কথা বলছে?’ তখন সেই কণ্ঠস্বরটা বলল, আমি আয়না। মামদো ভূতের একমাত্র মেয়ে। এ কথা শুনে রিয়ানা হঠাৎ রেগে গিয়ে বলল, দেখ আয়না, তুমি আমাকে মিথ্যে কথা বলবে না।
আয়না কারও নাম হয় নাকি? আয়না বলল, আমাদের ভূত রাজ্যে আয়না নামের অর্থ সুন্দরী। এমন চমৎকার কথোপকথনে এগিয়ে চলে ‘রিয়ানার ভূত বন্ধু গল্পটি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
আইএ/জেডএস