ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

সিসিমপুরে প্রাণবন্ত শেষ ছুটির দিনের মেলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
সিসিমপুরে প্রাণবন্ত শেষ ছুটির দিনের মেলা ছবি: দীপু/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এবারের একুশে বইমেলার মেলার শেষ ছুটির দিনটি বাংলা একাডেমি ঘোষিত শিশু প্রহর না হলেও কচিকাঁচার আসর জমেছিলো যেনো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সকাল থেকে দুপুর যেনো ছিলো শিশুদের রাজ্য।

বাবা মায়ের হাত ধরে শিশুদের পদচারণায় মুখরিত ছিলো মেলা।

মেলার ২৭তম দিনের প্রধান আকর্ষণ ছিলো শিশুদের জনপ্রিয় পাপেট শো সিসিমপুর। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এদিন সরাসরি প্রদর্শিত হয় এ অনুষ্ঠান। হালুম, টুকটুকি, ইকরি চরিত্রগুলো শিশুদের কাছে এসময় স্বপ্নের মতো ধরা দেয়।

নাচে, গানে আর কথায় উদ্যানের পুরো প্রাঙ্গণ মাতিয়ে দিয়েছে জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের চরিত্ররা। এতোদিন টেলিভিশনের পর্দায় দেখে আসা জনপ্রিয় এ চরিত্রগুলো সরাসরি দেখে আনন্দের সীমা ছিলো না শিশুদের।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় শুরু হয়ে আধঘণ্টা চলে এ অনুষ্ঠান। বিকেল ও সন্ধ্যায়ও থাকছে শিশুদের জন্য এ আয়োজন।

সিসিমপুরে জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরিরা এ নামগুলো বাংলাদেশের শিশুদের কাছে অনেক পরিচিত নাম। সিসিমপুর নামের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এ চরিত্রগুলোর কেউ বই পড়তে, কেউ মাছ খেতে আবার কেউ ভাবতে ভালোবাসে।

অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষায় ছিলো শিশুরা। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে কে কার আগে বসবেন এ নিয়েও ছিলো প্রতিযোগিতা। সন্তানদের সামনে দিয়ে বাবা মায়েরা পেছনে দাঁড়িয়েছেন।

অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে ধানমন্ডি থেকে বাবা মায়ের সঙ্গে আসা ৬ বছর বয়সী লাবিব বাংলানিউজকে বলে, হালুম, টুকটুকি, ইকরি দেখে আমার ভালো লেগেছে। অনুষ্ঠান শেষে আমি তাদের সঙ্গে হাতও মিলিয়েছি।

অনুষ্ঠানটি কি আর শুধু শিশুদের মজা দিয়েছে? বড়রাও শিশুদের মতো সমানতালে উপভোগ করেছেন সরাসরি সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি।

শিশুদের অভিভাবকরা জানালেন, চরিত্রগুলো তাদেরও প্রিয়। বাচ্চাদের সঙ্গে তারাও উপভোগ করেছেন এ অনুষ্ঠান।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও মেলার শেষ শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হওয়ায় গতকাল পুরো দিনই বইমেলা ছিলো জমজমাট, প্রাণবন্ত।

শনিবার বইমেলার দুয়ার খোলা হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। বেলা ১২টার আগেই শিশুরা জড়ো হয় সিসিমপুর বটতলায়। এদিন উদ্যানজুড়েই ছিলো তাদের পদচারণা। পুরো পরিবেশ হয়ে ওঠে শিশুমুখর। দুপুরে সিসিমপুর যখন শেষ হয়েছে তখন অনেক শিশু বায়না ধরেছে আবার এ আয়োজনটি করার জন্য। তখন সিসিমপুরের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিকেল ৪টায় এবং সন্ধ্যা ৬টায় এ অনুষ্ঠানটি আবার আয়োজন করা হবে।

এদিকে শনিবার বেলা যত গড়াচ্ছে লোক সমাগমও তত বাড়ছে। প্রকাশকরা প্রত্যাশা করছেন সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তাদের বিক্রি-বাট্টা ভালো হবে।

মূলমঞ্চের আয়োজন
শনিবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ৬ দফার পঞ্চাশ বছর শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ।

আলোচনায় অংশ নেবেন ড. আবুল বারকাত, সুভাষ সিংহ রায় এবং অজয় দাশগুপ্ত। সভাপতিত্ব করবেন ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১২৬৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
এডিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।