বইমেলা থেকে: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা বাঙালির জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতা অর্জনের মর্মকথা বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘৬ দফার পঞ্চাশ বছর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন, সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং লেখক-কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়। সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামোর ৬ দফার ভিত্তিতে বাঙালিদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায় কিছুতেই বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল না, সম্ভবও ছিল না। তার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে বাঙালির জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতা অর্জন। ৬-দফার মর্মকথা ছিল তা-ই।
তারা বলেন, যদিও একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অভ্যন্তরে থেকে সরাসরিভাবে তা তেমনটি করে বলা রাজনীতিবিজ্ঞানসম্মত ছিল না। রাজনীতিবিজ্ঞানের এ পাঠ বঙ্গবন্ধুর ভালো করেই রপ্ত ছিল। তাই একজন নিপুণ কৌশলীর মতো তিনি উপযুক্ত সময়টির জন্য অপেক্ষা করেছেন। এর মধ্যে নানাভাবে ও নানা ভাষায় তিনি ৬ দফার পেছনে তার মূল লক্ষ্য বাঙালিদের কাছে তুলে ধরতে সচেষ্ট হন।
বক্তারা আরও বলেন, ৬-দফার বিপ্লবী চেতনা ’৭০-এর নির্বাচন হয়ে ’৭১-এ বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে ধ্বনিত, অনুরণিত হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পাই স্বাধীন দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
আইএ/এএ