বইমেলা ঘুরে: বই খুললেই গাছপালা-স্তম্ভ এসে হাজির। পাতায় ছবির ছলে নয়, একেবারে বাস্তবে! বইয়ের পাতা উল্টালে একের পর এক বিষয়বস্তু উঁচু হচ্ছে, গাড়ি চলছে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি অংশে ‘দ্য পপ-আপ ফ্যাক্টরি’র স্টলে গিয়ে দেখা মেলে এ ধরনের বই। এবারই প্রথম পপ-আপ স্টল বইমেলায়, আর শিশুদের ভিড় নতুন ঘরানার এ বই সংগ্রহের দিকে। জটলা ঠেলে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় শতাধিক পপ-আপ বই বিক্রি হচ্ছে। ছুটির দিন হলে এ সংখ্যা ছাড়ায় শ’তিনেকে।
দ্য পপ-আপ ফেক্টরির কর্ণধার রোমানা শারমিনের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তিনি বলেন, দেশে এ ধরনের কাজ খুব একটা হয়না। ভারত থেকে কিছু পপ-আপ বই আসে, তবে সেগুলোর দামও যেমন বেশি তেমনি বিষয়বস্তুও ভিনদেশি। আমি বাংলাদেশি মৌলিক বিষয় নিয়ে বই করেছি, যা শিশু-কিশোরদের শুধু আকর্ষণই নয়- সঙ্গে তাদের জানাবে বাংলাভাষায় নতুন কাহিনীও।
একান্তই নিজস্ব ধারণা থেকে পপ-আপ বই তৈরি করা রোমানা শারমিন জানান, ইতোমধ্যে এ কাজের জন্য তিনি সেরা উদ্যোক্তার পুরস্কার জিতেছেন। স্বপ্ন দেখেন একটি বড় কারখানা প্রতিষ্ঠার। এতে করে দেশে এ সেক্টর যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি বিদেশেও বই রফতানি সম্ভব হবে। মূলত এখানে রয়েছে কাজের নতুন দ্বার, মত দেন রোমানা।
ব্যয়বহুল উৎপাদন ব্যবস্থার পরও মেলায় বিশেষ ছাড়ে ২শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকার মধ্যে পপ-আপ বই পাওয়া যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বাংলা বই ও দু’টি ইংরেজি। এর মধ্যে মূল আকর্ষণ মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘ছোট খোকন’ পপ-আপ। আরও আছে মৃত্তিকা গুণের ‘তিতলি একটি প্রজাপতি’।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
আইএ/জেডএস