আর এবার ভুল বানান প্রচার হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। ছোটদের গুরুত্ব দিয়ে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ‘শিশুচত্বর’ তৈরি করেছে বাংলা একাডেমি।
বাংলা একাডেমি’র ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে ‘চত্তর’ বলে কোনো শব্দ নেই। আর বাংলা একাডেমির অভিধান অনুযায়ী শব্দটি হবে ‘চত্বর; যার অর্থ চাতাল, চবুতর, প্রাঙ্গণ, উঠান, আঙিনা, রঙ্গভূমি, যজ্ঞভূমি।
শ্রাবণ প্রকাশনীকে বইমেলায় নিষিদ্ধ করার পর ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর ফেসবুকে বাংলা একাডেমি’র মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, তাতেও ছিল বানান ভুলের ছড়াছড়ি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এরপরও তিনি আবার নিজের ভুলের পক্ষে সাফাই গেয়ে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘ভুল হতেই পারে। ’
এ ঘটনার এক মাস পরেই শুরু হওয়া অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিশুদের জন্য বিশেষ একটি অংশ, ‘শিশুচত্বর’র প্রবেশপথে আবারো বানান ভুল করে হঠকারিতার প্রমাণ দেখাল প্রতিষ্ঠানটি।
সচেতন মহল মনে করছেন, ভাষা ও সাহিত্যচর্চা এবং গবেষণার জন্য সর্বোচ্চ এই প্রতিষ্ঠান যদি শিশুদের জন্য নিবেদিত শিশুপ্রহরে এহেন ভুল বানান (‘শিশু চত্তর’) প্রচার করে, তবে শিশুরা কী শিখে বড় হবে!
এ ব্যাপারে কবি ও সাংবাদিক সাযযাদ কাদির বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা একাডেমি হচ্ছে অভিভাবক। সেখানে নিজেরাই যদি ভুল করে তাহলে তা দুঃখজনক। ভুলভাবে বানান লেখার অধিকার বাংলা একাডেমিকে কেউ দেয়নি। বানানটি অবশ্যই ‘চত্বর’ হবে।
কবি ও সমালোচক সৈয়দ তারিকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। যে বানানটি তারা ‘শিশুচত্বর’-এর প্রবেশপথে লিখেছে, এটা প্রচার হচ্ছে এবং সেখানে যারা যাচ্ছে তাদের মনে বানানটা গেঁথে যাচ্ছে। এই শব্দের শুদ্ধ বানানটা তাদের কাছে প্রচার করাটাই কর্তব্য বলে মনে করি। ভবিষ্যতে বাংলা একাডেমি বানানের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল হবে বলে আশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
ইইউডি/জেএম