সরেজমিন মেলামাঠ ঘুরে দেখা যায়, মেলায় আগতদের মধ্যে অধিকাংশ তরুণ-তরুণী। বইকেনার চেয়ে তারা গল্প-আড্ডায় মেতেছেন বেশি।
তবে ক্রেতা কম বলে চিন্তিত নন বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, মাত্র ছয়দিন হয়েছে মেলার। আর একসপ্তাহ গেলেই প্রতিদিনই ব্যাপক ক্রেতা আসবেন। তবে এখনও যা বিক্রি হচ্ছে তা মন্দ নয়। তবে ছুটির দিনের চেয়ে অনেক কম।
এদিকে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী সাংবাদিকদের জানান, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মেলায় নতুন বই এসেছে ৯০টি এবং ৮টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
নতুন বইগুলোর মধ্যে গল্প ১৪টি, উপন্যাস ১১টি, প্রবন্ধ ১০টি, কবিতা ২২টি, ছড়ার ২টি, শিশুসাহিত্য ৪টি, জীবনী ২টি, রচনাবলী ১টি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১টি। এছাড়া বিজ্ঞান বিষয়ক ৫টি, ভ্রমণ ২টি, ইতিহাস ২টি, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ৩টি, কম্পিউটার বিষয়ক ১টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি এবং অন্যান্য বিষয়ে ৯টি বই ষষ্ঠ দিনে মেলায় এসেছে।
ষষ্ঠদিনে বিকেল ৪টায় মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর অভিধান: দেড়শোতম জন্মবর্ষের স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. স্বরোচিষ সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক আহমদ কবির, অধ্যাপক মুহাম্মদ দানীউল হক ও হাকিম আরিফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. গোলাম মুরশিদ।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সুজিত মোস্তফা, ইয়াসমিন মুশতারী এবং এ কে এম শহীদ কবীর পলাশ।
আগামীকালের অনুষ্ঠান সূচি:
বইমেলার ৭ম দিনে মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘হরিচরণ ও বাংলা ভাষার প্রযুক্তি ব্যবহার‘ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মোস্তফা জব্বার। আলোচনায় অংশ নেবেন মো. নজরুল ইসলাম খান ও শ্যামসুন্দর সিকদার। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। এছাড়া সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
ইইউডি/এএ