পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনীতির বিভিন্ন দিক ফুঠে উঠেছে বইটিতে। রাজনীতির অনেক অচেনা অধ্যায় উঠে এসেছে এতে।
বই সর্ম্পকে বলা হয়েছে, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জেনারেল জিয়া ও এরশাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সাংবিধানিকভাবে সমাধিস্থ করেছিলেন। যার পরিণতিতে ’৭১ এর গণহত্যাকারী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক জামায়াতে ইসলামীর রাষ্ট্রক্ষমতায় অংশদারীত্ব, শতাধিক মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের জন্ম ও বিস্তার, বাংলাদেশকে ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’ ও ‘আল কায়দা’র আর্ন্তজাতিক জেহাদী বলয়ের সঙ্গে সংযুক্তি এবং জঙ্গিবাদে সাম্প্রতিক উত্থান।
‘হাসিনা সরকার’ জেনারেলদ্বয় ও খালেদা জিয়ার রেখে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করেছেন বিরামহীনভাবে। যুদ্ধাপরাধীদেরে বিচার, জঙ্গি ও মৌলবাদ দমনের পাশাপাশি দেশোন্নয়নের কাজও এগিয়ে চলছে সমান গতিতে। এ কাজে বাধা আসছে ভেতর ও বাইরে থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি-জামায়াতের ‘রাজনৈতিক আখ্যায়’ এখনও পোড়ে ‘দেশ ও মানুষ’।
পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে এসেছে একটি নতুন প্রজন্ম। স্বাধীনতাবিরোধীরা এ প্রজন্মেও বেড়ে ওঠাকে ব্যাহত করতে অব্যাহত রেখেছে ‘পোড়া লাশের’ দেশবিধ্বংসী রাজনীতি। অসাংবিধানিক মৌলবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে কালের সাক্ষীস্বরূপ এ বইয়ের প্রতিটি শব্দ বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার উদ্বাত্ত আহ্বানের শিলালিপির মতো।
সাব্বির খান ১৯৬৬ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়তার জন্য তিনি এরশাদ সরকারের কোপানলে পড়ে ১৯৮৯ সালে দেশত্যাগে বাধ্য হন এবং সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন। ২০০২ সালে ওব্রেবু ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি লাভ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট হিসেবে পাঠকমহলের গ্রহণযোগ্যতায়ও তিনি সমৃদ্ধ। সুইডেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকভুক্ত সাংবাদিক হিসেবে ‘দ্যা ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন-সুইডেন’ এবং ‘সুইডিশ পেন’ এর সম্মানিত সদস্য তিনি।
মেলার ৪৯৬, ৪৯৭, ৪৯৮ ও ৪৯৯ নম্বর স্টলে অনিন্দ্য প্রকাশনীতে পাওয়া যাচ্ছে বইটি। বিক্রেতা মামুন বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক দিনেই ২শ কপি বিক্রি হয়েছে বইটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমএন/এএ