ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় অব্যবস্থাপনা চরমে, প্রকাশক সমিতির ১১ অভিযোগ

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
বইমেলায় অব্যবস্থাপনা চরমে, প্রকাশক সমিতির ১১ অভিযোগ বইমেলায় অব্যবস্থাপনা চিত্র/ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজনকে শুধু বিশৃঙ্খল নয়, বরং রুচিহীন বলছেন প্রকাশক-পাঠক মহল। মেলা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘নিরাপদ’-কে অনভিজ্ঞ, রুচিহীন ও নিম্নমানের বলে মত দিয়েছেন প্রকাশকরা।

এরইমধ্যে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মেলার অব্যবস্থাপনা নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

১১টি অভিযোগে সমিতি জানায়, মেলার মাঠে পর্যাপ্ত অালো নেই, এমনও স্থান রয়েছে যেখানে একেবারেই অন্ধকার।

ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর রাস্তা সংলগ্ন গেটটি দিয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা না থাকায় ওই চত্বরটি পাঠক-দর্শনার্থীদের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। পূর্ব পরিকল্পনা না থাকলেও বর্তমান বাস্তবতার জন্য গেটটি দিয়ে প্রবেশ এবং বের হওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

মাঠের সর্বত্র ইট বসানোর কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়নি। কোথাও সংযোগ রাস্তায় নেই ইট। এছাড়া যেসব স্থানে ইট বসানো হয়েছে, তার কোনো কোনো স্থান অসমতল। ফলে নারী, শিশু ও বয়স্ক পাঠকেরা বিপদের সম্মুখীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।

বিভিন্ন স্টলে পাইরেটেড বই বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়টি প্রতিরোধের জন্য টাস্কফোর্সের উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়া জরুরি।

মেলা চত্বরের অপরিচ্ছন্নতায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সমিতি। অভিযোগে আরও রয়েছে, টয়লেটের অব্যবস্থাপনাও চরম পর্যায়ে। মোড়ক উন্মোচন মঞ্চটি মানসম্পন্নভাবে নির্মাণ করা হয়নি। এটি দৃষ্টিনন্দনভাবে তৈরি জরুরি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তথ্যকেন্দ্রটি দৃশ্যমান নয়। সবার দৃষ্টিতে না পড়ায় তথ্যপ্রাপ্তি ও প্রদানে অসুবিধায় পড়ছেন সংশ্লিষ্টরা। খাবারের পানির ব্যবস্থাও নেই। দর্শক-পাঠকদের বসার ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাখা হয়নি।

যে ফোয়ারার কথা বলা হয়েছে তা এখনও নির্মাণাধীন, অথচ মেলার ৭ দিন অতিবাহিত।

সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, যাদের কাজ দেওয়া হয়েছে, তারা অনভিজ্ঞ, সৃজনশীলতা নেই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে আগামীতে যেন বইমেলার কাজ দেওয়া না হয়, সে জন্য তারা একাডেমিকে অনুরোধ করেছেন।

তিনি বলেন, মেলার যে গেটটি করা হয়েছে, সেটিও রুচিহীনতার প্রকাশ। ভেতরে ফোয়ারা করার কি দরকার ছিলো! যদি করাই হয়, তাহলে এখনো কেন তৈরি হয়নি!

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।