নেই ভিড়-ভাট্টা ও ধুলার ওড়াউড়ি। নেই লেখক-পাঠক-প্রকাশক, ক্রেতা-দর্শনার্থীর ধাক্কা-ধাক্কি! বরং গায়ে আয়েশি ভঙ্গিতে বাতাস লাগিয়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছায়াবিথী তলে ঘোরাঘুরির অবারিত সুযোগ!
মেলার ১৯তম দিন রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে যারা মেলা চত্বরে হাজির হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই পেয়েছেন এ সুযোগ।
বিকেল সোয়া ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার পর সিমসাম একটা পরিবেশ চোখে পড়ে। বিস্তৃত পরিসরে আয়োজিত মেলার ১৯তম দিন সব শ্রেণীর মানুষের কর্মব্যস্ত দিনে যারা মেলায় এসেছেন, তারা মন ভরে উপভোগ করছেন ধুলাবালিমুক্ত আয়েশী মেলা।
অন্য প্রকাশ’র প্যাভিলিয়নের সামনে দাঁড়িয়ে কথা হয় মালিবাগ থেকে মেলায় আসা আয়শা আক্তার রুমার সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাসায় বসে দেখেছি গত দুই দিন মেলায় কী ভিড়! সেই তুলনায় আজ অনেক সিমসাম পরিবেশ মনে হচ্ছে। ভালো-ই লাগছে।
রায়ের বাজার থেকে মেলায় আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আশিকুল্লাহ আশিক বাংলানিউজকে বলেন, আজ এমনিতেই চমৎকার আবহাওয়া। লোকজনও কম। সব মিলে চমৎকার পরিবেশ। ভালো লাগছে।
কিন্তু পাঠকের জন্য মেলার এ পরিবেশ আরামদায়ক হলেও লেখক, প্রকাশক ও প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য বিষয়টি তত সুখকার নয়। ভিড়ই তাদের তপস্য! ভিড় টেলে মেলায় এসে পাঠকরা বই কিনলেই স্বস্তি তাদের।
কথা হয়, কাকলী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মামুন মিয়ার সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দুই দিন প্রচণ্ড ভিড় গেছে। বিক্রিও হয়েছে ভালো। আজ ভিড় কম। বিক্রিও কম। ভিড়ের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হয়তো অপেক্ষা করতে হবে।
প্রতিদিনের মতো রোববারও মেলার দরজা খোলা হয়েছে বিকেল ৩টায়। মেলা চলবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। আজও মেলার মূল মঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। মেলার দুই অংশই সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রয়ারি ১৯, ২০১৭
এজেড/এমজেএফ