শেষ বেলায় এসে জমে উঠেছে মেলা। পাঠক ও দর্শকদের উপস্থিতি আগের থেকে বেড়েছে কয়েকগুণ।
রাজধানী ঢাকার বাইরে উত্তরাঞ্চলের বগুড়ায় প্রত্যেক বছর ধারাবাহিকভাবে বইমেলার আয়োজন করে আসছে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয় নয় দিনব্যাপী বইমেলা।
হামিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, বিক্রি তালিকার শীর্ষে রয়েছে শিশুতোষ বিভিন্ন মজার বই। যার মধ্যে, ছড়া, কল্পকাহিনী, ঠাকুরমার ঝুলি, মটু পাতলু, ডোরেমন, বর্ণমালা এবং বিভিন্ন গল্পের বই রয়েছে।
শিশুরা মেলায় এসে খালি হাতে ফিরছে না। নিজের পছন্দের জন্য একটি করে হলেও বই কিনছে ওরা। শিশুদের পরেই রয়েছে বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন বই। ঢাকার বিভিন্ন নামিদামি লেখকদের বই এখানেও শীর্ষে রয়েছে বলে যোগ করেন এসব বিক্রেতা।
শনিবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। আলোচক ছিলেন, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম জিয়াউল হক বাবলা, বগুড়া পদাতিকর সভাপতি বেঞ্জুরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন জোটের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান, আছাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল হাসান জুয়েল, অর্থ সম্পাদক জাহেদুর রহমান মুক্তা, দফতর সম্পাদক শুভ ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এইচ আলিম, নির্বাহী সদস্য আব্দুল আউয়াল, হাকীম মজিদ মিয়া, নান্দনিক নাট্যদলের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান চৌধুরী, বগুড়া নাট্যদলের সভাপতি মির্জা আহছানুল হক দুলাল, সংশপ্তক থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সুজন, শিকড় সঞ্চারি সাংস্কৃতিক একাডেমির শিরিন সুলতানা, জেসমিন আক্তার, থিয়েটার আইডিয়ার নিভা রানী সরকার পূর্ণিমা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
এমবিএইচ/আইএ