মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, গতকাল বুধবারও (৭ ফেব্রুয়ারি) যে সময়টাতে স্টলের লোকজন ক্রেতা সামলাতে ব্যস্ত, তারাই বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কাটাচ্ছেন খোশগল্প করে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যে ‘উদ্বেগ-আতঙ্ক’ তৈরি হয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে গ্রন্থমেলায়।
প্রকাশকরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে কি-না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। তেমন কিছু হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের।
তাদের মতে, গত বছর এসময় মেলায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক হতো। বুধবারও ১৫ থেকে ২০ হাজারের মতো লোক হয়েছিল। অথচ বৃহস্পতিবার ক্রেতাশূন্যপ্রায় মেলা প্রাঙ্গণ। লোকজন মেলায় এতো কম হয়েছে যে, জনপ্রিয় লেখকদের প্রকাশনীগুলোতেও ক্রেতা নেই। অন্যদের কথা তো বলারই প্রয়োজন পড়ে না।
হুমায়ূন আহমেদ’র বইয়ের নামকরা এক প্রকাশনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘দলগুলোর ওপর আসলে নির্ভর করবে সবকিছু। তারা সহনশীল হলে সাধারণ মানুষের ভীতি কেটে যাবে। অন্যথায় জনমনে ভীতির প্রভাব মেলায় দেখা যাবে। ’
একই লেখকের বইয়ের আরেক নাম করা প্রকাশনী কাকলীর প্রকাশক নাসির আহমেদ সেলিম বলেন, ‘আমরা আশা করবো রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টির হবে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে হবে। আমরা লোকসানের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। এটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ’
ঐতিহ্য প্রকাশনীর ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্যানিক থাকার কারণে মেলায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গতকালের তুলনায় বিক্রি নেই বললেই চলে। ’পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. সজীব বলেন, ‘গতকাল ১৫ থেকে ২০ হাজারেরর মতো লোক সমাগম হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। ’
গত কয়েক বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় গ্রন্থমেলার অবস্থা ছিল বেশ জাঁকজমক। সে বছর বিক্রিও হয় রেকর্ড পরিমাণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/