তবে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এসে কাটতে শুরু করেছে ভীতির মেঘ। কুয়াশা ভেদ করে দেখা দেওয়া সূর্যের হাসির মতোই স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ছে মেলায়।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলা কর্তৃপক্ষ শিশুপ্রহর ঘোষণা দিয়েছে আগেই। তাই বেলা ১১টা থেকেই বইপ্রেমীরা আসতে থাকেন বাংলা একাডেমির দিকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শিশুপ্রহর হওয়ায় বাচ্চাদের নিয়ে অনেকে এসেছেন পুরো পরিবারসমেত। পরিবারের সবচেয়ে ছোটজনের আনন্দে নিজেরাও স্নিগ্ধতার আবেশ মাখিয়ে নিচ্ছেন গায়ে।
আবির আল ইসলাম নামে পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, ভয়েই ছিলাম রায়ের পর কিনা কি হয়। তবে পত্রিকায় তেমন কোনো সহিংসতার খবর না পাওয়ায় সাহস বেড়ে গেলো। আর ছোট মেয়ে আবিরা বই মেলায় যাবে বলে কয়েকদিন ধরেই বায়না করছে। নিজেরও বই পড়ার অভ্যাস। তাই সবাই মিলেই এসেছি।
রুপা চৌধুরী এসেছেন ছোট ভাই-বোন আর বাবাকে নিয়ে। নিজেকে নারী উদ্যোক্তা দাবি করা এ পাঠক বলেন, বাবা বইমেলা বলতে অজ্ঞান। একা একা চলতে পারেন না এখন। তারজন্যই এই বন্ধের দিনে সবাইকে নিয়ে এসেছি। রাজনীতিতে অনেক কিছুই থাকবে। কিন্তু এ শতাব্দীতে এসে এখন আর সহিংসতায় কেউ জড়ায়। এতে ব্যক্তি, তার পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবদিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। পরিস্থিতি ভালো আছে, আশাকরি ভালো থাকবে।
এদিকে ভীতির মেঘ কাটতে শুরু করায় প্রকাশকরাও বেশ আশাবাদী হয়ে উঠছেন। তাদের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতা রাষ্ট্রীয় জীবনে সব সময়ই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কোনো কিছুর জন্য অন্য কোনো কিছু থেমে গেলে চলবে না। বইমেলা শুধু অর্থনীতির বিষয় নয়। দীর্ঘ একমাসের একটা উৎসব। এটা জাতীয় ঐতিহ্যের অংশও। তাই এর ক্ষতি যাতে না হয়, সে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে রাজনৈতিক অঙ্গনের মানুষদেরও।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির নেতা ও নওরোজ কিতাবিস্তান প্রকাশনীর কর্ণধার মঞ্জুর খান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আশাকরছি আঁধার থাকবে না। রাজনৈতিক অস্থিরতা শুক্রবার যেটা শুরু হয়েছিল, তার মেঘ কাটতে শুরু করেছে। লোকসমাগম বেড়ে অচিরেই উপচেপড়া ভিড়ের সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
ইইউডি/এএ
** পড়া খেলার নতুন সুর, চলো যাই সিসিমপুর