ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

লেখক-পাঠকে জমজমাট ছুটির দিনের বইমেলা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮
লেখক-পাঠকে জমজমাট ছুটির দিনের বইমেলা বইমেলায় অটোগ্রাফ দিচ্ছেন ইমদাদুল হক মিলন/ছবি: সুমন শেখ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: বইমেলা মানেই প্রাণের লেখককে একটু কাছাকাছি পাওয়া। যে হাতে তিনি অমর সব গ্রন্থ রচনা করেন একের পর এক, সে হাতের কোমল স্পর্শে একটা অটেগ্রাফ পাওয়া। তাইতো ছুটির দিনের বইমেলাতে প্রিয় লেখককে যেমন খুঁজতে আসেন পাঠকরা, ঠিক তেমনি পাঠকদের তৃষ্ণা মেটাতে ছুটে আসেন লেখকরাও।

শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিনের বিকেলটাও ছিলো ঠিক তেমনি। এদিন অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে যেমন ছিল বইপ্রেমীদের বিপুল আনাগোনা, ঠিক তেমনি দেখা মিলেছে একাধিক নামকরা লেখকদেরও।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বইমেলায় ঢুকতে বেশ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেছে শত শত মানুষ। কেউবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে। আবার কেউ এসেছে নিজের একান্ত প্রিয় মানুষটার সঙ্গে। উদ্দেশ্য একটাই, একটু ঘোরাঘুরি আর অনেকগুলো বই কেনা। নতুন বইয়ের মলাটের ভাজে আবদ্ধ জ্ঞানটুকু নিজের মধ্যে আত্মস্থ করা।

বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে দেখা মিলেছে বিভিন্ন নামি-দামী লেখকদের। এদের মধ্যে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, গুলতেকিন খান, ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক, রকিব হাসান ছিলেন অন্যতম। এসময় প্রিয় লেখকদের ঘিরে ধরে পাঠকদের অটোগ্রাফ নেওয়ার দৃশ্য ছিল চেখে পড়ার মতো।

মেলা প্রাঙ্গণে কথা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শির্ক্ষার্থী শাহে নেওয়াজের সঙ্গে। মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই তিনি আজ দেখা পেয়ে গেছেন তার প্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের।

অটোগ্রাফসহ নিজের প্রিয় লেখকের বই কিনতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত সে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বইমেলায় প্রতিবারই আসি। তবে এবার প্রিয় লেখকদের সান্নিধ্য পেয়ে বেশ লাগছে।

কথা হয় এ সময়ের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সার্বিক বিবেচনায় এবারের মেলা অনান্যবারের তুলনায় বেশ ভালো হয়েছে। তবে মেলা প্রাঙ্গণে সবার হাতে বইয়ের তুলনায় মোবাইল ফোন বেশি। সবারই বই কেনার তুলনায় সেলফি তোলার প্রতি বেশি আগ্রহী। তবে এ বিষয়টি সবাই যদি পজেটিভভাবে নেন, মোবাইল থেকে চোখ তুলে একটু বইয়ের দিকে তাকান, তবে তা সবার জন্যই আরো বেশি ভালো হবে।

ইমদাদুল হক মিলন বলেন, দ্বিতীয় সপ্তাহেই এবারের মেলা বেশ জমে উঠেছে। রাজনৈতিক সহিংসতার ভয় উতরিয়ে মানুষ বই কিনতে আসছে। এটা মানুষের বইয়ের প্রতি ভালোবাসাটাকেই প্রকাশ করে।

এদিকে রাজনৈতিক উদ্বেগ কাটিয়ে জনসমাগমে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ছুটির দিনের বইমেলা। দ্বিতীয় সপ্তাহে মেলায় বইপ্রেমীদের আনাগোনা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যাও। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রকাশকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এইচএমএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।