ব্যক্তিগত বা সামাজিক, যে কোনো ধরনের লাইব্রেরির জন্যই পুরো ফেব্রুয়ারি জুড়ে বই সংগ্রহের এক বিশাল সম্ভার এ বইমেলা। এছাড়া প্রতিটি স্টলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাড় থাকায় বইগুলো কেনা যাবে বেশ অল্প দামেই।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে কথা হলো এমনই কয়েকজনের সঙ্গে। মুন্সিগঞ্জ থেকে ব্যক্তিগত পাঠাগার গড়ার উদ্দেশে মেলায় বই কিনতে এসেছিলেন আবদুল হালিম। কথা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বইয়ের এ মেলায় খুব সহজেই প্রায় সব ধরনের বই একটা জায়গায় পাওয়া যায়। বাইরের তুলনায় বইয়ের প্রতি ছাড়ও আছে বেশি। তাই নিজের ব্যক্তিগত পাঠাগার গড়ার উদ্দেশে এখানে বই কিনতে আসা।
কুষ্টিয়া থেকে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হামিদুল ইসলামও বইমেলা ঘুরছিলেন একই উদ্দেশে। তিনি বলেন, নতুন বইয়ের এতো সমাহার আরতো কোথাও পাবো না। তবে প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে বই বাছাই করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। নতুন বই কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ সেটা তো আর না পড়ে বোঝা যাবে না। তাই আগেই বইগুলো থেকেই আগে কিনছি। এরপর সময় নিয়ে দেখবো নতুন বই।
মেলা থেকে লাইব্রেরির জন্য বই সংগ্রহ করতে আগ্রহ রয়েছে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থারও। এ ব্যাপারে কথা বেশকিছু প্রকাশনীর সঙ্গে। তবে তাতে পুরনোদের তুলনায় নতুনদের আগ্রহ বেশ বেশি।
আদিত্য অনিক প্রকাশনীর প্রকাশক আদিত্য অনিক এ ব্যাপারে বাংলানিউজকে বলেন, নিজের জন্য বই কেনা আর লাইব্রেরি করার জন্য বই কেনার মধ্যে একটা বেশ আলাদা ব্যাপার রয়েছে। লাইব্রেরির বইগুলো অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়। তবে এ মেলায় কেউ যদি লাইব্রেরির জন্য বই কিনতে আসনে, অবশ্যয় চেষ্টা থাকবে সাধারণের থেকে কিছু বেশি ছাড় দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এইচএমএস/এসএইচ