সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মেলার দ্বার খোলা হয় দুপুর তিনটাই। সে সময় থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে জনসমাগম থাকলেও বইপ্রেমীর সংখ্যা দেখা গেছে তুলনামূলক কম।
এ ব্যাপারে কথা হয় ইন্তামিন প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী এএসএম ইউনুসের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় এমন অনেকেই আসছেন, যারা শুধু স্টলে এসে বইয়ের সঙ্গে সেলফি তুলেই বিদায় নিচ্ছেন। কোনো বই কিনছেন না। এটা এ মেলার জন্য বেশ অস্বস্তিকর বিষয়। প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু এনে দিয়েছে সত্য, কিন্তু তার ব্যবহারেও তো আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।
পাশ থেকে কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুফফাহুল জান্নাত মারিয়া। তার মতে, লেখককে খুশি করার জন্য এবং ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্যই নির্দিষ্ট বই এবং স্টলে স্টলে ঘুরে সেলফি তুলছেন এসব দর্শনার্থী।
গ্রন্থপ্রেমীদের তুলনায় দর্শনার্থী বেড়ে যাওয়ায় মেলায় কমেছে বইয়ের বিক্রি। এ প্রসঙ্গে প্রিয়মুখ প্রকাশনীর প্রকাশক আহমদ ফারুক বলেন, মেলায় এবার জনসমাগম বেশি থাকলেও বিক্রি প্রথম থেকেই কম। কেননা পাঠকের তুলনায় গ্রন্থমেলায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি।
একই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সম্প্রতি (৯ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণে তিনি বাংলানিউজকে জানান, সার্বিক বিবেচনায় এবারের মেলা অন্যবারের তুলনায় বেশ ভালো হয়েছে। তবে মেলা প্রাঙ্গণে সবার হাতে বইয়ের তুলনায় মোবাইল বেশি।
এসময় তিনি বলেন, সবাই বই কেনার তুলনায় সেলফি তোলার প্রতি বেশি আগ্রহী। বিষয়টি সবাই যদি পজিটিভভাবে নেন, মোবাইল থেকে চোখ তুলে একটু বইয়ের দিকে তাকান, তবে তা সবার জন্যই বেশি ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এইচএমএস/এএ