মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ১ ফাল্গুনে অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বার খোলে বিকেল ৩টায়। শুরু থেকেই নগরীর বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ গ্রন্থমেলায় ভিড় জমায় বাসন্তী সাজে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, এদিন প্রায় সব তরুণীই নিজেদের রাঙিয়েছে লাল, হলুদ অথবা বাসন্তী কোনো শাড়িতে। খোঁপায় ফুলের মুকুট, হাতভর্তি রেশমি চুড়ি। তরুণরাও হলুদ-বাসন্তী পাঞ্জাবিতে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে বেশ। অনেকেই নিজের ছোট্ট সোনামণিটাকে সাজিয়েছেন প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে।
প্রাঙ্গণ ঘুরে কথা হয় সদ্য বিবাহিত আরিফুর রহমানের সঙ্গে। স্ত্রীকে নিয়ে বসন্তবরণে বইমেলা এসেছেন তিনি। জানালেন, বিয়ের পর এটাই প্রথম ফাল্গুন। কথা হলে বলেন, সকাল থেকই দু’জনে সারা শহর ঘুরে বেড়াচ্ছি। দুপুরের খাবারটাও হয়েছে বাইরে। এরপর সোজা বইমেলা। ফাল্গুনের এ বিকেলে দু’জন স্টল ঘুরে ঘুরে অনেকগুলো বই কেনার ইচ্ছে আজ।
তাহমিনা রহমান এসেছেন ছোট্ট মেয়েকে সঙ্গে করে। বললেন, সবার সাজগোজ আর বাইরে আসা দেখে মেয়ে বায়না ধরেছে। তার শখ পূরণেই চলে এলাম বইমেলায়। একটু ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার দিকে কিছু বই কিনে ঘরে ফিরবো।
শুধু পাঠকই নয়, আজ বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে বইমেলার প্রায় প্রতিটি স্টলে। বিকেলে প্রায় সব স্টলের বিক্রেতাদেরই দেখা গেছে ফাগুনের সাজ শরীরে নিয়ে বই বিকিকিনি করতে।
কথা হয় সাহিত্য বিলাস প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সানজিদা আফরিনের সঙ্গে। মেলায় ঘুরে বেড়াতে না পারলেও হলুদ শাড়ি, রেশমি চুড়ি আর খোঁপায় ফুল গুঁজে বই সম্পর্কে বলছিলেন ক্রেতাদের। কথা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ১ ফাল্গুন আজ। একটু তো সাজতেই হয়। সুযোগ পেলে মেলার মধ্যে একটু ঘুরে বেড়ানোরও ইচ্ছে আছে সন্ধ্যায়।
বসন্তের প্রথম দিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলা জমজমাট পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড়ে। আর ভিড় থেকেই মেলা জমে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করছেন প্রকাশকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এইচএমএস/এএ