সায়েন্স ফিকশন বা বিজ্ঞানের বইয়ের দিকেও ঝোঁক দেখিয়েছে শিশুদের কেউ কেউ।
গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি অংশে বাবা-মায়ের সঙ্গে মিরপুর থেকে এসেছে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নিসর্গ।
বড় হয়ে বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা, আর সে জন্য বিজ্ঞানের কয়েকটি বই কিনেছে নিসর্গের বাবা আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাচ্চাদের ছোট বেলা থেকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা বিপথগামী হবে না। আর ক্লাসের পড়ার ফাঁকে ফাঁকে গল্পের বই এক ঘোয়েমি দূর করবে শিশুদের।
বাবার কথা বলার মধ্যেই 'পরীক্ষার মন্ত্র' নামে শরিফুল ইসলাম ভূইয়ার একটি বই ছন্দ করে নিসর্গ।
শিশু-কিশোরদের পড়ার বই পছন্দ করে দিচ্ছেন বাবা-মায়েরাও। পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সামিরের বাবা ছেলের জন্য 'জনকের গল্প' নামে একটি বই পছন্দ করে দেন।
আর সামির এই গল্পের বইটির পাশাপাশি কিনেছে 'নিঝুম দুপুর', 'ভাই-বোনের গল্প' নামের দুটি বই।
সামির জানায়, দুপুরে পড়ার জন্য কিছু বই খুঁজছি। মজার গল্পের বই তার পছন্দ।
শিশুদের আগ্রহের জায়গায় বঙ্গবন্ধুর উপর লেখা গ্রন্থগুলোও স্থান করে নিয়েছে বলে জানান শিশু একাডেমির বই বিক্রেতা কামাল হোসেন।
এবার মেলায় 'পান্থা বুড়ি', 'আবার আমি স্কুলে যাবো', 'নিঝুম দুপুর', 'আজ মুনিয়ার জন্মদিন', 'মুকুলের একদিন' বইগুলোর কাটতি বেশি বলে জানান তিনি।
ইমদাদুল হক মিলনের 'বাঘের গলায় হরিণ শিশু' বইটির কাটতি ভালো বলেও জানান কামাল।
শিশু একাডেমির তালিকায় ৮৯০ জন লেখক রয়েছে জানিয়ে একাডেমির কর্মী কামাল বলেন, এখন পর্যন্ত ২৮০ জনের বই এসেছে। শিশুদের জন্য এসব বই বেশিরভাগই একশ' টাকার নিচে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ