গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, আইনের বইয়ের স্টলগুলোতে ভালো উপস্থিতি পাঠকের। আইনের মারপ্যাঁচ বোঝা তো সহজ কিছু নয়।
কারো হয়তো অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝামেলা, কেউ সমস্যায় পড়েছেন ওয়ারিশ নিয়ে। কারো আবার শ্রম আইন, ভূমি আইন, কোম্পানি আইনের ব্যাখ্যা প্রয়োজন। কেউবা খুঁজছেন ক্রিমিনাল ল বা ফৌজদারি আইনের তাবৎ ব্যাখ্যা।
মেলার স্টগুলোতে দেখা যায়, কেবল বলবৎ আইনের ব্যাখ্যা নিয়ে রচিত গ্রন্থই তারা আনেননি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠসূচির বইয়ের সমাহারও রয়েছে। দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী, বিচারক আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি বিদেশি খ্যাতমান আইনজ্ঞদের বইও তারা এনেছেন।
আইনশাস্ত্রের মধ্যে বেশি চলছে পুলিশ প্রবিধানমালা, জমির প্রচলিত আইন, প্রিন্সিপালস অব হিন্দু ল, হিন্দু আইন, সাক্ষ্য আইন, পুলিশ রেজ্যুলেশন, পুলিশ কেস, পুলিশি তদন্ত, ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন, ছুটির বিধিমালা, মটরযান আইন, চাকরি বিধিমালা প্রভৃতি।
আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, কোম্পানি আইন এবং শ্রমিক আইনের উপর কয়েকটি বই নিয়েছি। ব্যবসা করতে হলে নিজেরও কিছু আইন-কানুন এবং তার ব্যাখ্যা জানা উচিত।
একটি বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মী রিফাত রহমান বলেন, শ্রম আইন ও ভূমি আইনের উপর বই নিয়েছি। মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হলে এসব বই কাজে লাগে।
কেবল আইনশাস্ত্রই বাজারে আনে এমন প্রকাশনী, কামরুল বুক হাউজের ম্যানেজার মোহাম্মদ মিলন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আইনের বই ভালো চলে। মূলত প্রয়োজন থেকেই মানুষ এগুলো সংগ্রহ করেন। ভালো চাহিদা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এএ