মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, শনিবার মেলায় ১০০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা দামের পর্যন্ত কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, মুক্তিযোদ্ধ, জীবনকাহিনী, সংগীত এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাসসহ বেশ কয়েক ধরনের মিলে ৮১টি বই বাজারে এসেছে। বইগুলোর মোড়ক উন্মোচনও করা হয়েছে।
এদিকে, মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বিজয়: ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভা। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক-গবেষক আবুল মোমেন।
আলোচনায় অংশ নেন লেখক-সাংবাদিক হারুন হাবীব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী এবং গবেষক মোফাকখারুল ইকবাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক।
তখন আলোচকরা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের মোহনায় পৌঁছাতে সাংস্কৃতিক সংগ্রামের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। মূলত ভাষা আন্দোলনের চেতনাই আমাদের ধারাবাহিকভাবে উপনীত করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের দুয়ারে। ভাষা সংগ্রাম আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে জাতিসত্তার আত্মপরিচয় অন্বেষণে। তবে এ পথের যাত্রা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না মোটেও। নানামুখী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি ৫২-কে সফল করে তুলেছে ৭১-এ।
সভাপতির বক্তব্যে আহমদ রফিক বলেন, ভাষা সংগ্রাম মূলত স্বাধীনতার সংগ্রাম। ভাষা আন্দোলন চেতনার যে আগুণ জ্বালিয়ে ছিল, তারই বিচ্ছুরিত শিখায় আমরা আমাদের জাতিসত্ত্বার স্বরূপ আবিষ্কার করেছি।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আসাদ মান্নান এবং কবি হালিম আজাদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন ইস্তেকবাল হোসেন এবং লায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী। সংগীত পরিবেশন করেন তিমির নন্দী, শিবু রায়, রুমানা ইসলাম, আলম আরা মিনু এবং শ্যামা সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএফআই/টিএ