ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

৫ম দিনে নতুন বই ১৫২টি

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
৫ম দিনে নতুন বই ১৫২টি সন্ধ্যার পরে জমে উঠছে বইমেলা/ছবি: বাদল

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি মেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন বইও আসছে প্রতিদিন। পঞ্চম দিনে মেলায় এসেছে ১৫২টি বই। এখন পর্যন্ত মোট নতুন বই ৫১৯টি। এরইমধ্যে বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থাগুলো।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ প্রসঙ্গে নালন্দা প্রকাশনীর প্রকাশক রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, অন্যবারের তুলনায় মেলার প্রথম থেকেই এবার বিক্রি বেশ ভালো। মেলার প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি থাকে।

এসময় তারা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, গোয়েন্দা কাহিনী ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর উপরই বেশি ঝুঁকে থাকে।

অনিন্দ্য প্রকাশের বিক্রয় কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার বলেন, গোয়েন্দা কাহিনী বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নয়, শিক্ষার্থীদের ঝোঁক আছে ছোটগল্প, উপন্যাস ও কবিতার প্রতিও।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, দিন শেষে অনেক শিক্ষার্থীই ফিরেছেন বাংলার অমর কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বই নিয়ে। তবে হুমায়ুন আহমেদ খ্যাত অন্যপ্রকাশের ফিন্যান্স ম্যানেজার সানাউল কবির চৌধুরী কিরণ বলেন, হুমায়ুন আহমেদের পুরনো সব বইয়ের পাশাপাশি হরিশংকর জলদাসের ‘প্রস্থানের আগে', সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের ‘কয়লাতলা ও অন্যান্য', ইমদাদুল হক মিলনের ‘ফেলে যাওয়া রুমালখানি’ বইগুলিও বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালো। আর এখন পর্যন্ত এগুলোর মূল ক্রেতা বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী।  

তবে বরাবরের মতো এবারের মেলায়ও হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে তাদের চাহিদা বেশি বলেও জানান তিনি।

এদিকে মেলার পঞ্চম দিন বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্যমতে মেলায় নতুন বই এসেছে ১৫২টি। এরমধ্যে গল্প ২০টি, উপন্যাস ৩৩টি, প্রবন্ধ ১৫টি, কবিতা ৪০টি, গবেষণা ২টি, ছড়া ২টি, শিশুসাহিত্য ২টি, জীবনী ৫টি, মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক ৭টি, বিজ্ঞান বিষয়ক ৩টি, ভ্রমণ বিষয়ক ৩টি, নাটক ২টি, রাজনীতি বিষয়ক ১টি, ধর্মীয় ১টি, অনুবাদ ২টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি ও অন্যান্য ১৪টি।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো- গ্রন্থকুটির প্রকাশিত মোজাফ্ফর আহমদের ‘বাংলা সাহিত্যের নানাদিক’, অনন্যা এনেছে দিপু মাহমুদের ‘নতুন ডায়েরি-১৯৭১’, এবং মোহাম্মদ জাহাঙ্গীদের ‘সমাজ ও নানা চিন্তা’, তৃণলতা প্রকাশনী এনেছে আহসান হাবীবের ‘বিজ্ঞান কল্প গল্প’, ও অনুপম হায়াতের ‘গণমাধ্যমে নজরুল’, উৎস প্রকাশন এনেছে হাসান শাহরিয়ারের ‘নিউজউইকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় এবং তারপর’, নবযুগ প্রকাশনী এনেছে সন্‌জীদা খাতুনের ‘অগ্রজ জনের সৃষ্টিবীসা’, তরফদার প্রকাশনী এনেছে হায়দার আকবার খান রনোর ‘মুক্তযুদ্ধে বামপন্থিরা’, কথা প্রকাশ এনেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘হস্তান্তর নয় রূপান্তর চাই’ ইত্যাদি।

বিকেলে মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘কবি সিকান্দার আবু জাফর: জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি নাসির আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন ড. শিরীণ আখতার এবং কবি বায়তুল্লাহ কাদেরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি সানাউল হক খান এবং তারিক সুজাত। আবৃত্তি পরিবেশন করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং শাহাদাৎ হোসেন নিপু। সংগীত পরিবেশন করেন মাহমুদ সেলিম, সমর বড়ুয়া, আরিফ রহমান, সুরাইয়া পারভীন ও স্বর্ণময়ী মন্ডল।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।