ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলার নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট দর্শনার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
বইমেলার নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট দর্শনার্থীরা মেলার গেটে চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি/ছবি: বাদল

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলার সময় বাংলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আগে ঘটেছে নানান অপ্রীতিকর ঘটনা। সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ কিংবা ব্লগার অভিজিতের উপর হামলা হয়েছিল ভাষার মাসের এ মেলা থেকে ফেরার পথেই। তাই নিরপত্তা নিয়ে একটু শঙ্কা থেকেই যায় দর্শনার্থীদের। তবে সোচ্চার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এবার মেলার ষষ্ঠ দিন বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দুই স্থানেই বেড়েছে লোকসমাগম। দু’পাশের প্রবেশদ্বারেই রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।

প্রত্যেকের ব্যাগ চেক, দেহ তল্লাশি করে তবেই প্রবেশ করানো হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণে। সন্দেহ হলে সবকিছু যাচাই করে তবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে মেলায়।

বইমেলায় প্রতিবার আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মঞ্জুরি সাহা। এবার কেমন দেখছেন, জিজ্ঞেস করলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এবার নিরাপত্তা একটু বেশি অন্যবারের চেয়ে। ব্যাগ খুলে দেখিয়ে তারপর ঢুকতে হয়েছে। সবকিছু ভালো মনে হচ্ছে। তেমন কোনো ঝামেলা নেই। নিরাপত্তায় কড়াকড়ি থাকা সবার জন্যই ভালো।

সোহরাওয়ার্দীর একটি প্রবেশদ্বারে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত আমাদের চোখে কিছু পড়েনি। আমাদের কন্ট্রোলরুমে যে কোনো অভিযোগ দিলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মেলায় আগতরা সবাই পছন্দসই বই খুঁজছেন। কেউ কেউ এসেছেন বাবা-মা ভাই-বোন নিয়ে, আবার কেউ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসা রফিকুল হাসানকে বইমেলা কেমন দেখছেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভালোই দেখছি। সাজানো-গোছানো চারপাশ। বাংলা একাডেমির চেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লোক সমাগম বেশি। ওখানকার চেয়ে এখানে স্টলও বেশি। দেখে রাখছি, পছন্দ হলে কিনবো। কবিতা ও উপন্যাস আমার ভালো লাগে।  

দর্শনার্থী জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট। ঝামেলা নেই। পানির বোতল বলেন, আর খাবার বলেন সবই আছে। প্রবেশমুখে ম্যাপও আছে। তাই তেমন একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি। গতবারের মতোই দেখছি এবারও।  

মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (‍র‌্যাব), ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কন্ট্রোল রুম।

বাংলা একাডেমিতে প্রবেশের জন্য দু’টি এবং বের হওয়ার জন্য একটি আলাদা গেট করা হয়েছে। এছাড়াও মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য তিনটি প্রবেশ ও তিনটি বের হওয়ার গেট করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রয়েছে আন্তঃবেষ্টনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উভয় বইমেলা চত্বর ও তার আশপাশ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণের কন্ট্রোলরুম থেকে মেলার ভিতর ও চারপাশে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইভটিজিং, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধে রয়েছে পুলিশের বিশেষ টিম।

এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে ব্লাড ব্যাংক ও শিশুদের জন্য ফিডিং কক্ষ, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার। প্রতিবারের মতো এবারও দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি খাওয়াচ্ছে ডিএমপি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
ডিএসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।