সত্যিই তাই, বইমেলা শুধু বই কেনা বা পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তা এখন আড্ডারও জায়গা। তাইতো মেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে কেমন যেনো একটা উৎসবের আমেজ থাকে।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলার প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, এ মেলা যে কেবলই বই বিক্রি-বাট্টার মেলা নয়। মেলা ঘিরে জমে ওঠে আড্ডা। রাজধানীর কারো কারো বিকেল থেকে সন্ধ্যার ঠিকানা হয়ে ওঠে অমর একুশে গ্রন্থমেলার এ প্রাঙ্গণ। বন্ধু-বান্ধব আর পরিবারের সঙ্গেও এসময় জমে ওঠে আড্ডা খোশগল্প।
এ প্রসঙ্গে কথা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন জাহান বলেন, এটাতো স্রেফ মেলা নয়, আমাদের জন্য একটা উৎসবও। প্রতিদিন বিকেল হলেই বন্ধুরা মিলে এখানে চলে আসি। মেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে যেনো একটা উৎসবের আমেজ থাকে। সবার সঙ্গে দেখাও হয়ে যায়।
একাডেমির নতুন ভবনের সামনে পুকুর পাড়ে, লিটল ম্যাগ চত্বরে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের আশপাশে ও কালী মন্দিরের পুকুর পাড়েও থেমে নেই এ আড্ডা। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ নানা বিষয় উঠে আসছে তাদের আড্ডায়। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে যেমন আলোচনা হচ্ছে, তেমনি আলোচিত হচ্ছে মেলায় নতুন কি বই এলো, কি বই কেনা যেতে পারে, লেখকরা কেমন লিখছেন ইত্যাদি। অনেকের কাছে বই আর আড্ডার মধ্য দিয়েই যেনো কেটে যাচ্ছে গ্রন্থমেলার দিনগুলো।
কথা হয়, তরুণ কবি তুহিন তাওহিদের সঙ্গে। প্রতিদিন মেলা আসেন তিনি। বলেন, বর্তমানে তো ঠিকানা হয়ে উঠেছে প্রাণের এ মেলা। তাই প্রাণের তাগিদেই সবার উচিত একবার এসে প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে যাওয়া প্রাণের বইমেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এইচএমএস/এএ