শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তারা।
চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনকে নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর।
পরিতোষ সেন সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আবুল মনসুর তার বক্তব্যে বলেন, পরিতোষ সেন পুরানো ঢাকার জিন্দাবাজার এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন ও এখানেই বড় হয়েছেন। তিনি মূলত বাংলাদেশের একজন চিত্রশিল্পী। বাংলাদেশের ঢাকায় বেড়ে ওঠা নিয়ে তিনি ‘জিন্দাবাহার’ নামে একটি অসাধারণ বইও লিখেছেন। তার কৃতকর্ম সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে প্রথমত তার আঁকা ছবিগুলো প্রদর্শন করতে হবে। তাছাড়া তার মতো উঁচু স্তরের লেখকের লেখালেখি নিয়ে আলোচনা করতে হয়। এসব গুণাবলীর বাইরে তিনি ব্যক্তি মানুষ হিসেবে একজন অমায়িক মানুষ ছিলেন। সব মিলিয়ে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পাতায় তিনি একজন মহামানব।
আলোচনা অনুষ্ঠানের মূল পর্বে সৈয়দ আবুল মকসুদ তার বক্তব্যে বলেন, তিনি যে বয়সে ছবি আঁকা শুরু করেছেন সে বয়সে আমরা জন্মগ্রহণও করিনি। তিনি ছবি আঁকতেন তার মনের আবেগ মিশিয়ে। তবে তার সঙ্গে আমার ২ ঘণ্টা সময়কালের একটা স্মৃতি রয়েছে। যেটা আমার জীবনের চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অধ্যাপক মতলুব আলী বলেন, পরিতোষ সেন পুরস্কারের ঊর্ধ্বে ছিলেন। তারপরও আমরা তাকে মূল্যায়ন করতে পারিনি। কলকাতায় পড়াশোনার পর তিনি প্যারিসে চিত্রশিল্প নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সে সময় তিনি চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর সাথেও কাজ করেছেন। পিকাসোর সঙ্গে কাজ করলেও তার কাজের পিকাসোর কোনো প্রভাব ছিল না। তিনি নিজের মতো কাজ করতেন।
তিনি আরো বলেন, এমন একজন গুণী মানুষকে নিয়ে এই প্রথমবারের মতো দেশে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। যেটা আসলেই আনন্দের বিষয়, তবে এ আয়োজন আরো আগেও হতে পারতো। তবে এরকম আয়োজনের জন্য বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই। তার সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম যখন আমি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ করছি। এই কাজের ফাঁকে আমি বিভিন্ন চিত্র শিল্পীদের সঙ্গে দেখা করতাম। তখনই দেখলাম এরকম একজন মহান চিত্রশিল্পী ও মহামানবকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ