স্টলের সামনে দাঁড়ালেই মনে হবে দক্ষিণ হাওয়ার বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাতছানি দিচ্ছেন তার অগণিত পাঠক-ভক্তকে। তবে তিনি অধরা!
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দশম শ্রেণিতে পড়া নাঈমা আহসানকে নিয়ে বইমেলায় এসেছিলেন ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন।
কথা হলে নাঈমা বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে আমি সেভাবে পাইনি। তবে তার লেখার বেশ ভক্ত বলতে পারেন। বন্ধুরাসহ শিক্ষকরাও এই লেখকের লেখার অনেক প্রশংসা করেন। আর আমিও তার অল্প কিছু বই পড়েছি। সেখান থেকেই এই লেখকের লেখার প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা।
শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, এই লেখকে আগ্রহ আছে সব বয়সী মানুষের। আর তার প্রমাণ মেলে অন্যপ্রকাশসহ হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশনাগুলোর কাছে গেলেই। পাঠকরা এসব প্রকাশনা থেকে নিচ্ছেন নিজেদের পছন্দের বইটি। তবে তাদের বেশি আগ্রহ হিমু আর মিসির আলী সিরিজে।
বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম পছন্দ করেন হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলি সিরিজ। তিনি বলেন, লেখক তার লেখাগুলোতে একেকটি চরিত্র যেভাবে সৃষ্টি করে গেছেন, তা অন্য লেখক খুব কমই পারেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়তে শুরু করলে কি একটা জাদু ঘটে যায়, সেখান থেকে যেনো আর বেরোনো যায় না।
সত্যিই তাই মত্যুর এতগুলো বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বইমেলায় তার বই কিনতেই মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। হুমায়ূন আহমেদ এখনো এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। এখনো তার বইগুলোই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বইমেলায়।
এ প্রসঙ্গে অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবার মেলায় বই বিক্রি ভালো হচ্ছে। আমাদের প্রকাশনী থেকে উপন্যাসের বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। আর অন্য যে কোনো লেখকের চেয়ে হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের বিক্রি বরাবরই অনেক বেশি। হুমায়ূন আহমেদের পুরনো বইগুলো এখন ভালো বিক্রি হচ্ছে। যারা আগে পড়েননি তারা এখন কিনে পড়ছেন।
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সর্বশেষ স্বশরীরে বইমেলায় এসেছিলেন ২০১২ সালে। তবে বইমেলায় হুমায়ুন আহমেদ স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও তার অগণিত ভক্তের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল, এমনটাই আশা এই প্রকাশক এবং লেখকের অগণিত প্রিয় পাঠকের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এইচএমএস/এএ