বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির মূলমঞ্চে ‘কবি রফিক আজাদ: শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বলেন, প্রথম দিকে তার কবিতা ছিল প্রায়ই বিষয়হীন।
নিরন্তন সাধনায় কবি রফিক আজাদ নিজস্ব শিল্প-ভুবন তৈরি করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়-বৈচিত্র্যে ও প্রকার-প্রকরণে তিনি সাজিয়ে তুলেছেন কবিতার ভুবন। তার কবিতার মূল সুর ব্যক্তির অন্তর্গত উপলব্ধি। ব্যক্তির সীমানা ছাড়িয়ে তার কবিতায় নিরবে ভেসে ওঠে স্বদেশের চিত্র। তার কণ্ঠে শোনা যায়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যাপিত জীবনের সুর আর স্বর।
বাংলা একাডেমির এ ফেলো আরো বলেন, রাজনীতির ক্ষেত্রে শূন্যতা কবির কাছে ধরা দিয়েছে ভয়াবহরূপে। দেশজুড়ে নেমে আসা গভীর অন্ধকার স্বাধীনতাপ্রিয় এ কবিকে ব্যথিত করে। স্বৈরতন্ত্র, বিপন্ন অর্থনীতি, পঙ্গু রাজনীতি এবং অসহায় ও মানবতার নিষ্ঠুর চালচিত্র হয়ে ওঠে রফিক আজাদের কবিতা।
কথাশিল্পী রশীদ হায়দারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আলোচনায় আরো অংশ নেন অসীম সাহা ও ফারুক মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এসকেবি/এমএমইউ