শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রন্থমেলার শিশু কর্নার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সী শিশু স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের পাতা উল্টে নিজেদের পছন্দের বই খুঁজছে। স্টলের পাশে থাকা কয়েকটি খেলাধুলার স্পটেও তাদের মধ্যে বেশ উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে।
এদিন সকাল থেকেই বড়দের হাত ধরে মেলায় আসতে থাকে শিশু-কিশোররা। স্টল থেকে স্টলে ঘুরে পছন্দের বই কিনছে তারা। মেলায় বাড়তি আনন্দ যোগ করে সিসিমপুর মঞ্চ। প্রিয় চরিত্রগুলোকে দেখতে আগ্রহের কমতি নেই শিশুদের।
শিশু চত্বরে দেখা মিলল আজিমপুর শিশু বিকাশ কেন্দ্রের একঝাঁক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তাদের মেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। জানতে চাইলে শিক্ষার্থী তৃষ্ণা ও খাদিজা বলে, অনেক ভালো লাগছে মেলায় এসে। অনেকগুলো পছন্দের বইয়ের তালিকা নিয়ে এসেছি। মেলা ঘুরে দেখবো এবং এগুলো কিনবো।
উত্তরার একটি স্কুলের শিক্ষিকা ফারিয়া আনাম তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেলায় এসেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেলায় এলে বাচ্চাদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তারা বিভিন্ন লেখকের বই সম্পর্কে জানতে পারে। সবার উচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বইমেলায় আসা।
এদিকে শিশুদের এমন সবর উপস্থিতিতে খুশি প্রকাশকরাও। তারা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বই কিনে দিচ্ছেন তাদের পছন্দ অনুযায়ী।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, বইমেলা মূলত সব বয়সীদের জন্য। তবে মেলায় বেশি ভিড় হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই শিশুরা অভিভাবকের সঙ্গে আসতে পারে না। তাই গ্রন্থমেলার প্রতি শুক্রবার ও শনিবার শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়। ফলে শিশুরা এদিন খুব সহজেই মেলায় এসে তাদের পছন্দের বই কিনতে পারে।
গ্রন্থমেলায় শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সাল থেকে ‘শিশুপ্রহর’ সুবিধা চালু করে বাংলা একাডেমি। শিশুদের জন্য এই সময়টাতে বিশেষ অনুষ্ঠান ও বইয়ের সংগ্রহ রাখা হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু কর্নারে শিশুতোষ বইয়ের সংগ্রহ বেশি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এইচএমএস/এএ