রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালের ঝড়-বৃষ্টিতে স্টলের ক্ষতি আর বই ভিজে গেলেও এদিন মেলা শুরু হয় তার পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিকেল ৩টায়। তখন থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমিয়েছেন বই ভালোবাসা মানুষগুলো।
বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ প্রকাশনীই এখনো তাদের ভিজে যাওয়া বইগুলো শুকিয়ে উঠতে পারেননি। তাই তাদের ভিজে যাওয়া বইগুলো স্টলের সামনেই কাপড় বিছিয়ে শুকাচ্ছেন। একই সঙ্গে সমস্যা ছিল স্টলের বিদ্যুৎ সংযোগেও। ফায়ার সার্ভিসকে দেখা যায় এসময় বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা এবং ঠিক করে দিতে। আবার অনেক প্রকাশনীই আলাদা মিস্ত্রী ডেকে সারিয়ে নিয়েছেন নিজেদের স্টলগুলো।
তবে এতো বাধা-বিপত্তির মধ্যেই মেলা শুরু হওয়ার সময় থেকেই পাঠকদের জন্য স্টল উন্মুক্ত করেছে প্রায় প্রতিটি প্রকাশনী। আর তাতে ভিজে যাওয়া বইয়ের ঘ্রাণ নিতেই ভিড় জমিয়েছেন পাঠক। ব্যথিত হয়েছেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্টল আর বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া বইগুলো দেখে, স্পর্শ করে।
এ প্রসঙ্গে বিকেলে মেলার সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে কথা হয় রাজধানীর গুলশান থেকে আসা ফারজানা জোয়ার্দ্দারের সঙ্গে। দু’জন বান্ধবী মিলে ঘুরে দেখছিলেন বইমেলা, কিনেছেন বেশকিছু বইও।
কথা হলে ফারজানা বলেন, অফিসের কাজের ফাঁকে সময় বের করে মেলায় আসাটা একটু কষ্টকর হয়ে যায়। তবে চেষ্টা করি প্রতিবছরই দু-তিনবার আসার জন্য। আজ মেলায় আসার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল। তবে এসে বইয়ের এই ভিজে যাওয়া, স্টলে স্টলে হাতুড়ি পেরেকের শব্দ সত্যিই মনকে ব্যথিত করে তুলছে।
তবে এতো সমস্যার মধ্যেও যে প্রকাশকরা ঠিক সময় থেকেই পাঠকদের হাতে ভালো বইগুলো তুলে দিচ্ছেন, এজন্যও প্রকাশক ও স্টল মালিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রকাশক ও স্টলে দায়িত্বরতরা বাংলানিউজকে জানান, সকালের ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণ কম নয়। তবে পাঠকদের ধরে রাখতে এবং শুকনো ও সুন্দর বইগুলো তাদের হাতে তুলে দিতে গোডাউন থেকে নতুন বই স্টলে আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে পাঠকরা এসে সুন্দর এবং ভালো বইগুলোই তুলে নিচ্ছেন নিজের হাতে, কিনে নিচ্ছেন পছন্দমতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এইচএমএস/এএ