বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স গত ৩১ জানুয়ারি ‘দ্য মাদার’ প্রকাশ করে। আর গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে অ্যামাজন, বার্নেস অ্যান্ড নবল, ওয়াটারস্টোন্সসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক বই বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ‘দ্য মাদার’ লন্ডন থেকে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর বই বাজারে পৌঁছে দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের বিদ্যমান যে বাজারব্যবস্থা রয়েছে তার মাধ্যমেও উপন্যাসটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দুটি ফরম্যাটে ‘দ্য মাদার’ প্রকাশ করছে অলিম্পিয়া। পেপার ব্যাক ও ই-বুক। আমাজন দুই ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করছে উপন্যাসটি।
‘দ্য মাদার’ এর পেপারব্যাক ফরমেট পাওয়া যাচ্ছে- অলিম্পিয়া পাবলিশার্স, অ্যামাজন ডট কম, অ্যামাজন ডট কো ডট ইউকে অ্যামাজন ডট ইন, বার্নেস অ্যান্ড নবল, ওয়াটারস্টোন্সে। আর ই-বুক ফরমেট মিলবে অ্যামাজন ডট কম, অ্যামাজন ডট কো ডট ইউকে এবং অ্যামাজন ডট ইনে।
এর আগে ভারত, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে প্রকাশিত হয় মোস্তফা কামালের তিনটি উপন্যাসের ইংরেজি সংকলন ‘থ্রি নভেলস’। ‘তালিবান, পাক কানল অ্যান্ড ইয়াং লেডি’, ‘ফ্লেমিং ইভেন টাইড’ এবং ‘দ্য ফ্লাটারার’। ‘থ্রি নভেলস’ও বিশ্বজুড়ে বাজারজাত করেছে অ্যামাজন ডট কম। আর বাংলাদেশে বাজারজাত করার দায়িত্ব পালন করছে বৃহত্তর অনলাইন বুক শপ রকমারি ডটকম।
২০১৪ সালে পার্ল পাবলিকেশনস থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ‘জননী’। প্রকাশের পরপরই উপন্যাসটি ব্যাপক সমাদৃত হয়। সম্প্রতি ‘জননী’র চতুর্থ মুদ্রণ বাজারে এসেছে বলে জানান প্রকাশক হাসান জায়েদী তুহিন।
তিনি বলেন, মোস্তফা কামালের ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘অগ্নিকন্যা’, ‘অগ্নিপুরুষ’ ও ‘অগ্নিমানুষ’ এই ট্রিলজিও পাঠকের কাছে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ অর্থাৎ দেশভাগ থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত সময়কালের ওপর লেখা ট্রিলজি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পার্ল থেকে উপন্যাসগুলো প্রকাশ করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি।
এক প্রতিক্রিয়ায় লেখক মোস্তফা কামাল বলেন, লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স থেকে একজন লেখকের বই প্রকাশিত হওয়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার চেয়েও বড় ব্যাপার। আমার প্রধান উপন্যাসগুলোর একটি ‘জননী’। এই উপন্যাস দিয়েই পাঠক আমাকে নতুন করে চিনেছেন, নতুনভাবে গ্রহণ করেছেন। এটি একটি দীর্ঘ উপন্যাস। প্রথমে আমি অলিম্পিয়াকে উপন্যাসটির কাহিনী সংক্ষেপ ও প্রথম তিন পার্ট পাঠাই। পরে তারা পুরো পাণ্ডুলিপি পাঠানোর জন্য আমাকে অনুরোধ জানায়। এরপর অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের সম্পাদকীয় বোর্ডের প্রধান সম্পাদক আমাকে চিঠি পাঠিয়ে উপন্যাসটি প্রকাশের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। চিঠিতে উপন্যাসটি তাদের অনেক ভালো লেগেছে বলেও উল্লেখ করেন।
উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন লেখক ও অনুবাদক দুলাল আল মনসুর।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমএ/