মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে লোকজনের ভিড়। বিকেল গড়াতেই সব বয়সী পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।
মেলার ১৮তম দিন মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, পাঠকদের পদচারণায় মুখর বইমেলা। প্রাণের মেলায় ঘুরে ঘুরে বই দেখার পাশাপাশি বই কিনছেন পাঠকরা। মেলার সময় যতোই গড়াচ্ছে বই কেনার সংখ্যাও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, সামনের দিনগুলোতে বই বিক্রি আরও বাড়বে। তারা জানান, গল্প আর উপন্যাসের বইয়ের প্রতিই মেলায় আগতদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে।
বায়েজিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। বই পড়া তার শখ। ঝোঁক রয়েছে বই কেনার প্রতিও। এদিন তিনি তৃতীয়বারের মতো বই কিনতে মেলায় এসেছেন। বায়েজিদ বলেন, বই পড়লে জ্ঞান বাড়ে। বই যতো পড়ি ততোই ভালো লাগে। আজ কয়েকটা উপন্যাস কিনতে মেলায় এসেছি। তার মতো অনেক বইপ্রেমী মেলায় এসেছেন বই কিনতে।
গল্পকার স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. ইকবাল বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ পাঠকের সংখ্যা বেশি। মেলার গেট উন্মুক্তের সঙ্গে সঙ্গেই লোকজনের ভিড় বাড়ছে। পাশাপাশি বই বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। তিনি জানান এখন পর্যন্ত গল্প, উপন্যাসের চাহিদা বেশি।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রতিবছর শিশু-কিশোরদের যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, সোমবার এ বছর প্রথমবারের মতো (২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত) শিশু-কিশোরদের পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিগুলো নিয়ে বাংলা একাডেমির ড. মুহম্মদ এনামুল হক ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। প্রদর্শনী চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, প্রতিদিন মেলা চলার সময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
ইএআর/জেডএস