বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টায় দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর দুইটার পর থেকেই বইপ্রেমীদের লাইনে দাড়াতে দেখা যায়। সব বয়সী মানুষের পদচারণায় লোকারণ্য হয়ে ওঠেছে গ্রন্থমেলার উভয় প্রাঙ্গণ।
স্টলে স্টলে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তালিকা করে আনা বইয়ের খোঁজ করছেন তারা। তথ্য কেন্দ্র থেকে পছন্দের লেখকের বইয়ের প্রাপ্তিস্থান জিজ্ঞেস করছেন অনেকেই।
সেখানে রকিব হাসানের উপন্যাস কোথায় পাওয়া যাবে বলে জিজ্ঞেস করছিলেন উত্তরা থেকে আসা হাবিবুর রহমান। পরে তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে ছেলের জন্য নিলেন কাঙ্ক্ষিত বই।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আজকে গ্রন্থমেলা শেষ হচ্ছে। দূরত্বের কারণে আসব আসব বলেও আসা হয়নি। অনেক বই কেনার ইচ্ছা আছে।
এদিকে শেষ দিনে নির্দিষ্ট ছাড়ের বাইরে অতিরিক্ত ছাড়ে বই বিক্রি করছে অনেক প্রকাশনী। বেশি বিক্রির মাধ্যমে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।
আদিত্য অনিক, বলাকা, ইন্তামিন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা জানান, আমরা চাই পাঠকরা বইয়ে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠুক। নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাড়ের বাইরেও কিছু বইয়ে ছাড় দিচ্ছি।
সব মিলিয়ে বেশ জমজমাট বইমেলা। রাত সাড়ে নয়টায় পর্দা নামবে বাঙালির এ প্রাণের উৎসবের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/