বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) লেখক ও প্রকাশকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে ২০১৯ এর গ্রন্থমেলা চলবে আরো দু’দিন। আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত।
এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টির আতঙ্ক ছিল বৃহস্পতিবারও। বৃষ্টিতে কি হবে না হবে তাই নিয়ে কত কথা। আবহাওয়া অফিসের বার্তা ছিল বিকেল ৩টার পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। পুরোপুরি সেটা না হলেও বৃষ্টি হয়নি। বই বিক্রি হলো মেলার শেষ মুহূর্তটি পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে মেলায় আসা দর্শনার্থী ফয়সাল হাবিব সানী বলেন, মেলার শেষ দিনটিতে বইমেলায় আসতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এতোদিন ঘুরলেও আজ বই কিনবো। বাছাই করা লিস্টও আছে কাছে। এখন শুধু বই কেনার সময়।
তবে এখানেই শেষ হলোনা। বইমেলার ইতিহাসের প্রায় সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে বইমেলার সময় বাড়লো।
নিয়ম অনুযায়ী, শেষ দিনের মেলা হিসেবে করে বিকেল তিনটা থেকেই বইপ্রেমীদের ঢল নামতে শুরু করে মেলা প্রাঙ্গণে। বইপ্রেমীরা কিনে শেষ বইগুলো। আর মেলার দিন বাড়ানোর ঘোষণা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বয়ে যায় খুশির জোয়ার।
অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা খুবই খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, প্রকাশকদের মনের কথা শোনার জন্য। সে সঙ্গে এবারের মেলার যে প্রতিপাদ্য ৫২ থেকে ৭১, তাও পরিপূর্ণ পেলো। কারণ ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা ছড়িয়ে গেলো স্বাধীনতার মাস মার্চে।
বিকেলে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে কথা হয় গ্রীন ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম রনির সাথে। তিনি বলেন, মেলার সময় বাড়ছে শুনে খুব ভালো লাগছে। শুক্রবার ছুটির দিন। আজ সবগুলো বই কেনা হয়নি। কাল এসে বাকী বইগুলো কিনে নিবো। যারা এখনও আসতে পারেনি, তারা আগামী দুইদিনে মেলায় আসবে এবং নিজেদের পছন্দের বই কিনে নিবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
শুক্রবার (১লা মার্চ) ছুটির দিনে মেলার প্রবেশদ্বার খোলা হবে সকাল ১১টায়। আর মেলা চলবে যথারীতি রাত নয়টা পর্যন্ত। এদিনের সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকবে অষ্টম শিশুপ্রহর। এ প্রহরের শিশুচত্বরে দূরন্তপনা ও বইকেনায় মেতে উঠবে শিশুরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, ০১ মার্চ, ২০১৯
এইচএমএস/এমএমএস