ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বাড়তি সময়ে শিশুদের পদচারণায় মুখর গ্রন্থমেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৯
বাড়তি সময়ে শিশুদের পদচারণায় মুখর গ্রন্থমেলা বইমেলার শিশুপ্রহরে সিসিমপুরের স্টলে শিশুদের উচ্ছাস। ছবি: ডিএইচ বাদল/বাংলানিউজ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: গাজীপুর টেক্সটাইলের কর্মকর্তা সুবীমল ঘোষ। ব্যস্ততার কারণে এ বছর একবারও আসা হয়নি অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। সময় বাড়ায় এবং ছুটিতে ঢাকায় অবস্থান করায় মিললো সে সুযোগ। 

ছেলে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মাহাত্ম ঘোষ নিয়ে এলেন বইমেলায়। ছেলেকে নিয়ে দিলেন ‘ছোটদের এনসাইক্লোপেডিয়া’।

বাবার সঙ্গে শিশু চত্বরে সিসিমপুরের ইকরি, হালুমের পরিবেশনাও উপভোগ করলো মাহাত্ম।

শুক্রবার (০১ মার্চ) গ্রন্থমেলার শিশুপ্রহরে শিশু-অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বেলা ১১টার পর গ্রন্থমেলার দ্বার উন্মুক্ত করা হলে শিশুরা পছন্দের বই কিনতে বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় আসতে শুর করে।  

শিশু চত্বরের স্টল ঘুরে ঘুরে নিয়েছেন গল্প, ছড়া ও কবিতার বই। মেয়ে আনিকা তাবাসসুমকে নিয়ে এসেছেন মা ফাহমিদা সুলতানা।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বৃষ্টি থাকার কারণে শেষ দিকে মেলায় আসতে চাইলেও আসা সম্ভব হয়নি। এখন এলাম মেয়ের সিসিমপুর দেখার ইচ্ছাও পূরণ হলো। বইও কিনবো।

বড়দের হাত ধরে বইমেলায় এসেছে শিশুরা।  ছবি: ডিএইচ বাদল/বাংলানিউজবেলা ১১ টা ৫২ মিনিটে  ‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে’সুর বাজাতে বাজাতে এলো কার্টুন চরিত্র ইকরি, হালুম ও টুকটুকি। মুহূর্তেই শিশুরা তাদের প্রিয় চরিত্রগুলো দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।  

মেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিসিমপুরের ব্র্যান্ড প্রমোটর রাইসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি ও নির্বাচনের কারণে আমাদের শেষ দিকে বিক্রি ভালো হয়নি। সময় বাড়ায় আমরা খুবই খুশি। দুইদিনই ছুটির দিন থাকায় শিশুপ্রহর থাকছে। আশা করছি বিক্রিও ভালো হবে।

এদিন মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের ভিড় দেখা গেছে ঢাকা কমিক্স, ঘাসফড়িং, প্রগতি পাবলিশার্সসহ বেশ কযেকটি স্টলে। মুক্তপ্রকাশের বিক্রয়কর্মী আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। বিকেলে বেশি বিক্রি হবে আশা করছি। এ দুইদিনে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে পারবো।

শিশুচত্বর ছাড়া গ্রন্থমেলার উভয় প্রাঙ্গণেও বইপ্রেমীদের কম বেশি পদচারণা ছিল। তবে বেশ কিছু জায়গায় পানি জমে থাকার কারণে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মেলায় আগত লোকজনদের।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছিল মাসব্যাপী বইমেলার শেষদিন। কিন্তু প্রকাশকদের দাবির প্রেক্ষিতে দুইদিন বাড়ায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
এসকেবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।